বিজিবি’র ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই রোহিঙ্গা নিহত
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
কক্সবাজার: কক্সবাজারের টেকনাফে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে।আজ সোমবার ভোর রাত ৪টার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ওয়াব্রাংয়ের নাফ নদীর তীরে এ ঘটনা ঘটে।এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা,একটি চায়না পিস্তল ও দুই রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।নিহতরা হলেন, উখিয়া কুতুপালং ক্যাম্পের মোহাম্মদ শফিকের ছেলে মো.আলম (২৬) ও বালুখালী ক্যাম্পের মো. এরশাদ আলীর ছেলে মো. ইয়াছিন (২৪)। এ ঘটনায় বিজিবি ল্যান্স নায়েক মো. আব্দুল কুদ্দুস, নায়েক মো. শাকের উদ্দিন আহত হন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান জানান, ‘সোমবার রাতে হ্নীলা বিওপির সংলগ্ন ওয়াব্রাংয়ের নানীরবাড়ি নামক সীমান্ত দিয়ে মাদকের চালান আসার গোপন সংবাদ পায় বিজিবি। এর ভিত্তিতে বিজিবির একটি দল সেখানে অবস্থান নেয়। এ সময় কয়েকজন লোক নাফ নদী সাঁতরে কিনায় আসতে দেখে চ্যালেঞ্জ করলে মাদক কারবারি চক্রের সদস্যরা বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে।এতে বিজিবির দুই সদস্য আহত হন।’
তিনি জানান, ‘এ সময় বিজিবিও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ করলে দুইজন গুলিবিদ্ধ হয় ও অন্যান্য মাদক কারবারিরা কেওরা বাগানের দিকে পালিয়ে যায়।পরে ঘটনাস্থল তল্লাশি চালিয়ে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা,একটি চায়না পিস্তল ও দুই রাউন্ড কার্তুজসহ গুলিবিদ্ধদের উদ্ধার করা হয়।পরে চিকিৎসার জন্য তাদেরকে টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কক্সবাজার সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।সেখানে নেয়ার পর তাদের মৃত্যু হয়।’
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক খানে আলম বলেন, ‘রাতে বিজিবি দুই রোহিঙ্গাসহ আহত চাজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।তার মধ্য দুই রোহিঙ্গার শরীরে গুলির আঘাত রয়েছে।তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজারে রেফার করা হয় এবং আহত বিজিবি সদস্যদের চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।বিজিবির অধিনায়ক বলেন, ‘দুই রোহিঙ্গার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৫ জুলাই পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ৫০ জন নিহত হয়েছে।এর মধ্যে ২৬ জন সক্রিয় ডাকাত ছিল।বাকিরা মাদক কারবারি।