বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা নতুন করে জনজীবনে বিপর্যয় ডেকে আনবে ঐক্য ন্যাপ

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

ঢাকাঃ বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি প্রত্যাহার ও দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি প্রতিরোধের দাবীতে ঐক্য ন্যাপের উদ্যোগে আজ বিকাল ৩ টায় শাহবাগ জাতীয় যাদুঘরের সামনে সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য এডভোকেট এস এম এ সবুরের সভাপতিত্বে আজকের এ প্রতিবাদী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।মানববন্ধন সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারন সম্পাদক এড. আসাদুল্লাহ তারেক।মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঐক্য ন্যাপ সভাপতি মন্ডলীর সদস্য আব্দুল মুনায়েম নেহেরু, নাসিরুল ইসলাম জুয়েল, অলিজা হাসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হারুনার রশিদ ভুঁইয়া, ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক সাহাবউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
সভায় সংগঠনের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য (ভার্চুয়াল) বলেন, জ¦ালানি তেল ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির পর পাইকারী পর্যায়ে বিদ্যুতের প্রায় ২০ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধি যা অনিবার্যভাবে গ্রাহক পর্যায়ে মূল্যবৃদ্ধি ঘটাবে- জনগণের জীবন উঠবে নাভিশ^াস। নিত্যপন্যের বাজার, যাতায়াত, যোগাযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সহ সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের জীবনে বাড়বে সংকট। বিদ্যুৎ, গ্যাস, সকল ধরণের দ্রব্যমূল্যের নিয়ন্ত্রণহীন ও লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধিকে ‘ত্বরান্বিত’ করার এবং অর্ধহারে-অনাহার গ্রস্ত বিত্তহীন, নি¤œবিত্ত ও চরম বিপর্যয়ের পথে ঠেলে- দেয়া ও মধ্যবিত্তের উপর “মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা” হিসেবে দেখা দিবে।
স্বভাবতই প্রশ্ন উঠবে “রাষ্ট্র তুমি কার?” বাজার তুমি কার? কেন অপ্রতিরোধ্য ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ও অর্থ পাচারকারী, ঋণ খেলাপী, দুর্নীতিবাজ, রাঘব বোয়াল ও অপচয় কারী? কারা। কৃষকরা রক্ত পানিকরা শ্রমে খাদ্য ফলাবে, শ্রমের দাম- এমনকি উৎপাদন খরচ মিলবে না জনগণের, অথচ চালকল মালিকরা কেজিতে ৮-১৪ টাকা লাভ পাবে- এরপর কোথাই থাকে সংবিধান বর্ণিত “জনগণের রাষ্ট্রীয় মালিকানা?” রাষ্ট্রে জনগণের মালিকানা নিশ্চিত করতে হলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সুনিশ্চিত করতে হবে। জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।অন্যান্য বক্তারা বলেন, বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ সকল ধরণের নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের মূল্য বৃদ্ধিতে জনজীবনে ইতিমধ্যে বিপর্যয় নেমে এসেছে, সব ধরনের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, উৎপাদন-বন্ঠন-পরিবহন সহ সকল ক্ষেত্রে নৈরাজ্য নেমে আসবে।
বক্তারা আরো বলেন, দেশে অরাজকতা ও অস্থিতিশীলতা-নৈরাজ্য পরিহার করতে হলে অবিলম্বে বিদ্যুৎ, গ্যাস, সকল ধরণের নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের দাম কমাতে হবে।
মানববন্ধনের দাবি সমূহ
১. সর্বস্তরে রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
২. বাজার ব্যবস্থাপনা শক্তিশালি করতে হবে।
৩. বিদ্যুতের সিষ্টেমলস কমাতে হবে।
৪. সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে সরকারকে আরো কঠোর ভূমিকা নিতে হবে।

You might also like