বিদ্যুৎ অফিসের সামনে সুনামগঞ্জ বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি ও স্মারকলিপি প্রদান
শামীম আহমদ তালুকদার
সত্যবাণী
সুনামগঞ্জ থেকেঃ সারাদেশে অসহনীয় বিদ্যুৎতের লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বিদ্যুৎ অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে সুনামগঞ্জ জেল বিএনপি। বৃহস্পতিবার সকালে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন ও সাধারন সম্পাদক এড. নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে শহরের পুরাতন বাস-স্টেশন থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে শহরের কোর্ট পয়েন্টে অবস্থিত বিদ্যুৎ অফিসের সামনে অবস্থান নেয়। বিদ্যুৎ অফিসের গেটে অতিরিক্ত মানুষ ঢুকতে গেলে পুলিশ বাঁধা দেয়। এসময় সামান্য উত্তেজনা সৃষ্টি হয় নেতাকর্মীদের মাঝে। এর বিদ্যুৎ অফিসের সামনে সমাবেশ করে বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে স্বারকলিপি প্রদানের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ হয়।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড. নুরুল ইসলাম নুরুলের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহ সভাপতি এড.মল্লিক মইনুদ্দিন সুহেল,আকবর আলী,সেলিম উদ্দিন,লক্ষণশ্রী ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল ওদুদ,এড শেরেনুজ্জামান, নাদের আহমদ, আবুল মনসুর শওকত এড. জিয়াউর রহিম শাহিন,কৃষকদলের আহবায়ক আনিসুল হক, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক নাসিম উদ্দিন লালা,সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মুর্শেদ আলম,আব্দুর রহিম,জেলা বিএনপির উপদেষ্ঠা আব্দুস ছাত্তার,জেলা বিএনপি নেতা হাজী আকুল আলী,শফিকুল ইসলাম শফিক,কালার চান,জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল হাসান রাজু,তফাজ্জল হোসেন,জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক মোনাজ্জিও হোসেন,জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক জাহাঙ্গীর সআলম ও সদস্য সচিব মো. তারেক মিয়া অন্যান্য নেতৃবৃন্দ । নেতৃবৃন্দরা বলেন, নিশি রাতের ভোটার বিহীন এই অবৈধ সরকার ক্ষমতা আখড়ে রেখে সাধারন মানুষের ভোটাধিকার হনন করে দেশে লুটপাঠের রাজত্ব কায়েম করেছে। এই অবৈধ সরকার বলেছিল দেশে শতভাগ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেয়া হয়েছে। তাহলে আজ বিদ্যুৎ এর লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে উঠেছে কেন। আইন শৃংখলা বাহিনী পুলিশকে ব্যবহার করে এই অবৈধ সরকার দেশের জনগনের টাকা লুটপাঠ করে দেশকে ধবংস করে দিয়েছে। অবিলম্বে তত্বাবধায়ক সরকারের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর করে একটি জাতীয় নির্বাচনের আয়োজনে সরকারের প্রতি আহবান জানান,অন্যতায় তত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার দাবী আদায় ছাড়া আন্দোলনের মাঠ থেকে জিয়ার সৈনিকরা ঘরে ফিরে যাবে না বলে হুশিয়ারী উচ্চারন করেন নেতারা।