বিদ্যুৎ বিল বাড়ানোর দাবিতে সরব এমপি হাবিব দেশে-বিদেশে সমালোচনার ঝড়
চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী
সিলেট থেকেঃ নিত্যপণ্যের দামে সিলেটসহ সারা দেশের বেশিরভাগ মানুষের যখন নাভিশ্বাস উঠছে, একের পর এক বাড়তে থাকা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধে মানুষ যখন হিমশিম খাচ্ছে, ঠিক তখন আরেক দফা বিদ্যুৎবিল বাড়ানোর দাবি তুললেন সিলেট-৩ আসনের এমপি হাবিবুর রহমান হাবিব। মহান জাতীয় সংসদে সম্পূরক বাজেটে বক্তৃতাকালে তিনি এ দাবি তুলেন। এমপি হাবিব বলেন ‘আমার মনে হয়, বিদ্যুৎ বিলটি আমাদের আরও বাড়িয়ে দেয়া উচিৎ। ইউরোপ-আমেরিকার মতো বিদ্যুৎ বিল বাড়িয়ে দিলে আমাদের আর লোডশেডিং হবে না। কারণ মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা অনেক ভালো।তিনি আরও বলেন ‘বিদ্যুৎ বিল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন। তাই আমরা বিদ্যুৎ বিল দেই। তাছাড়া ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে মানুষ ঘরের বাইরে বের হলে ফ্যান-লাইটের সুইচ বন্ধ করে যায়। কিন্তু আমরা করি না।
এমপি হাবিবের বিদ্যুৎ বিল বাড়ানোর দাবির এই বক্তব্য বিভিন্ন মাধ্যমে ভাইরাল হলে সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করে। তাঁর এই বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপ বায়ান্ন টিভি নামের ফেসবুক পেইজে প্রচারের পর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিসহ সাধারণ মানুষ নেতিবাচক মন্তব্য করেন। জমিয়ত নেতা আবদুল মালিক চৌধুরী লেখেন ‘হাবিব ভাই আপনার মতন একজন সাবেক ছাত্রনেতা এ জাতীয় বক্তব্য আমরা আশা করিনি, জাতি প্রত্যাশা করেনি, আপনি প্রবাসী মানুষ পাউন্ড দিয়ে তুলনা করে যেমন বাজার করেন, পাউন্ডকে তুলনা দিয়ে বিদ্যুৎ বিল দিলে, দেশের পরিস্থিতি কি হবে চিন্তা করেন? দলকে খুশির চেয়ে জাতিকে কিছু দেয়ার চেষ্টা করেন, আশা করি এ বক্তব্য আপনি প্রত্যাহার করবেন, মানুষ কত যন্ত্রণা, কত কষ্টে আছে। আমার বিশ্বাস এটা আপনার মনের কথা নয়, সংসদে আপনার পজিশন বাড়ানোর জন্য, জনবান্ধব বা কর্মীবান্ধব বক্তব্য নয় বরং বিশেষ মহলকে খুশি করার জন্য, এ বক্তব্যে আমরা খুব কষ্ট পেয়েছি, আমরা তো আপনাকে একজন নেতা, সাবেক ছাত্রনেতা হিসাবে মূল্যায়ন করি, ভবিষ্যৎ সিলেটে নেতৃত্ব যারা দিবেন তাদের মধ্যে আপনি একজন।মোহাম্মদ আবু জাকারিয়া নামের একজন লিখেছেন ‘আমেরিকার মতো কারেন্ট বিল বাড়িয়ে দিন সমস্যা নেই! তার আগে আমেরিকার মতো বেতন করেন, তাহলে আর জনগণের সমস্যা হবে না।মো. ফখরুল ইসলাম জাবেদ নামের একজন মন্তব্য করেন ‘এমনিতেই রাতের বেলা ঘুমাইতে পারি না বাসায় গিয়ে, বাবা মা বাচ্চা সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েছে প্রতিটা ফ্যামিলিতে ও মসজিদে, নামাজ পড়তে গিয়ে কারেন্ট থাকে না, নামাজ শেষ হবার পর কারেন্ট আসে, মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজ, দোকান, দিনের বেলা কষ্ট করতেছে, মানুষের আহাজারি, কারেন্ট থাকে না, আর বিলের কাগজ আইছে আগের চেয়ে বেশি,,, কারেন্ট না থাকলেও ডাবল বিল আসে।’