বিয়ানীবাজার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় বর্তমান নির্বাচন কমিশন ভোটার ইমেজ সৃষ্টিতে বদ্ধপরিকর —-নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান
চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী
সিলেট থেকেঃ নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, বিয়ানীবাজার পৌরসভা নির্বাচন সম্পূর্ণ প্রভাবমুক্ত থাকবে। এজন্য নির্বাচনের দিন গোপন কক্ষ ব্যতীত প্রত্যেক বুথ ও বুথের বাইরে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। নির্বাচন কমিশনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর দায়িত্বশীল ও রিটার্নিং কর্মকর্তা সিসি ক্যামেরায় ভোট কেন্দ্রের অবস্থান প্রত্যক্ষ করবেন। বিপুল সংখ্যক চোখ এ নির্বাচনে সজাগ দৃষ্টি রাখবে। এ কারণে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের কোন সুযোগ নেই। কেউ চেষ্টা করলে এবং তদন্তে প্রমাণিত হলে ভোট বাতিল করা হবে।গত রোববার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বিয়ানীবাজার পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীদের সাথে ‘নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন বিষয়ক’ মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন ভোটের ইমেজ সৃষ্টিতে বদ্ধপরিকর। সুষ্ঠু ভোট করতে সর্বশক্তি নিয়োগ করা হবে। প্রয়োজনে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। আমরা সবকিছু সাংবিধানিক দায়িত্ব নিয়ে করবো। কে কোন দলের, কে কোন প্রতীকের তা দেখার সুযোগ নেই।
ইভিএম সম্পূর্ণ ত্রুটিমুক্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, অধ্যাপক জাফর ইকবাল, অধ্যাপক কায়কোবাদসহ দেশের শীর্ষ ২০ জন অধ্যাপককে ইভিএম দেখিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তারাও এ ব্যবস্থা ত্রুটিমুক্ত বলে মতামত দিয়েছেন। ইভিএমে সকাল ৮টার এক মিনিট আগে ভোট দেয়ার সুযোগ নেই। এজন্য ভোট কারচুপি হওয়ারও কোন সুযোগ নেই।
ইসি আনিছুর রহমান বলেন, কোন ধরনের ভয়ে কেউ ভীত হবেন না। ইভিএমে শূন্য থেকে ভোট প্রদান শুরু হবে এবং প্রতি ঘন্টায় কতটি ভোট গ্রহণ করা হয়েছে সেটি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পৃথক একটি ট্যাবে তথ্য সংরক্ষণ করবেন। আগে ব্যালট নিয়ে অন্য জায়গায় সিল মেরে বাক্সে ঢুকানোর ঘটনা ঘটলেও ইভিএম কেন্দ্রের বাইরে নিয়ে গেলে এটি কোন কাজ করবে না। ইভিএমের সাথে ইন্টারনেটের কোন সম্পর্ক নেই। তাই বাইরে থেকে এটি নিয়ন্ত্রণ নেয়ারও সুযোগ নেই। তাছাড়া কোন ইভিএম কোন কেন্দ্রে কিংবা কোন বুথে যাবে, সেটি আগে থেকে নির্ধারণ করা থাকবে না।ইউএনও মো. আশিক নূরের সভাপতিত্বে ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মৌলুদুর রহমানের পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাকির হোসেন, সিলেট জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা শুকুর মাহমুদ মিয়া ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সল কাদের।বিয়ানীবাজার পৌরসভা নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং অফিসার মো. আলমগীর হোসেনের স্বাগত বক্তব্য শেষে ইভিএমে ভোট প্রদানের প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। পরে প্রতিদ্বন্ধী মেয়র,সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলরদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন নির্বাচন কমিশনার।
উল্লেখ্য,আগামী ১৫ জুন ইভিএমে বিয়ানীবাজার পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ লক্ষ্যে গত ২৭ মে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দের পর তারা প্রচারণা শুরু করেছেন। পৌর নির্বাচনে তিনজন দলীয়সহ ১০ মেয়র প্রার্থী, সংরক্ষিত কাউন্সিলর ১০ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪৮ জন প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। প্রার্থীদের প্রচারণা শেষ হবে ১৩ জুন রাত ১২ টায়। নির্বাচনে মোট ভোটার ২৭ হাজার ৩৬৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৩ হাজার ৬২৫ ও মহিলা ভোটার ১৩ হাজার ৭৪৪ জন।