বিশ্বনাথের ৫ ইউপি নির্বাচন সোমবার নৌকার ভোট চাইলেন শফিক-নাসির

চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী

সিলেট থেকেঃ ১৭ জুলাই সোমবার সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার ৫টি অলংকারী, রামপাশা, দৌলতপুর, বিশ্বনাথ, দেওকলস ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন আয়োজনে জেলা নির্বাচন অফিস প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে প্রতিটি কেন্দ্রে নির্বাচন গ্রহণের প্রয়োজন সরঞ্জাম পৌঁছে যাচ্ছে। সাথে সাথে ভোট গ্রহণের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারাও স্ব স্ব দায়িত্ব পালনের জন্য কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে গেছেন। আইন-শৃংখলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ-আনসারসহ সংশ্লিষ্টরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন।এদিকে বিশ্বনাথ থেকে সংবাদদাতা জানান, ‘স্বাধীনতা ও উন্নয়ন’র প্রতীক নৌকার পক্ষে গণজাগরণের লক্ষ্যে ভোট ভিক্ষা চেয়েছেন জেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান। ১৫ জুলাই শনিবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ৫টি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে নৌকার সমর্থনে অনুষ্ঠিত পৃথক প্রচার সমাপনি নির্বাচনী সভায় তারা ভোট ভিক্ষা চান।
প্রতিটি সভায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, টাকার জন্য দলকে হারিয়ে ব্যক্তির জয় বড় নয়। তাই নিজেরা ভেদাভেদ ভূলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে ১৭ জুলাই উপজেলার ৫ ইউনিয়নে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। নৌকার বিজয়ে বিজয়ী হবে আ’লীগ, আর আ’লীগের বিজয়ে বিজয়ী হবে এদেশের অবহেলিত-বঞ্চিত মানুষ। বিরোধী দলের প্রার্থী বা নীতি-আদর্শ বদলে স্বতন্ত্র হওয়া কেউ নির্বাচিত হলে তার দল সরকারে না থাকায়

ইউনিয়নবাসীকে উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হতে হবে। পক্ষান্তরে নৌকার বিজয়ে হবে এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন। সারা দেশের ন্যায় উন্নয়নের জোয়ারে বিশ্বনাথকে রাখতে ৫টি ইউনিয়নেই নৌকায় ভোট দিয়ে আ’লীগ মনোনীত প্রার্থীদের বিজয়ী করার আহবান জানান।প্রধান বক্তা এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান বলেন, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতারা মুখে বলে এক আর করে আরেক, তাই তাদের সিদ্ধান্ত মানেন না তৃণমূলের নেতারা। তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বিশ্বনাথের ৫ ইউনিয়নে বিএনপি’র পদবীধারী নেতাদের অংশগ্রহণ। বিএনপির তৃণমূলের নেতারা প্রমাণ করেছেন ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে না আসার ঘোষণা’ আসলে কেন্দ্রের ভুল সিদ্ধান্ত।তিনি বলেন, আ’লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে ১৭ জুলাই বিশ্বনাথের ৫ ইউনিয়নের নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে হবে। কোন নেতার সেন্টারে নৌকা কত ভোট পেয়েছে তার উপর ভিত্তি করেই আগামীতে নেতাকর্মীদেরকে কমিটিতে মূল্যায়ন করা হবে। আর আ’লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের কেউ নৌকার বিরোধী কাজ করলে, প্রমাণ রাখবেন। বহিস্কার হওয়ার পাশাপাশি ভবিষ্যতে সে আর কোন কমিটিতে স্থান পাবেনা।

‘স্বাধীনতা ও উন্নয়ন’র প্রতীক নৌকায় ভোট চেয়ে শেষ নির্বাচনী সভাগুলোতে বক্তব্য রাখেন অংলকারী ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী শাহ তাজুল ইসলাম মাইকেল, রামপাশা ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী আরব আলী, দৌলতপুর ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী ওয়াহাব আলী মেম্বার, বিশ্বনাথ ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী আব্দুল জলিল হিরন মিয়া মেম্বার ও দেওকলস ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী আবুল কালাম জুয়েল।নৌকার শেষ নির্বাচনী সভাগুলো অলংকারীতে ইউনিয়ন আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিরা মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা সিতার মিয়ার পরিচালনায়, রামপাশায় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার খানের সভাপতিত্বে ও বর্তমান চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলমগীরের পরিচালনায়, দৌলতপুরে ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি আরিফ উল্লাহ সিতাবের সভাপতিত্বে ও উপজেলা আ’লীগের শিক্ষা সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজের পরিচালনায়, বিশ্বনাথে ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি জিলু মিয়ার সভাপতিত্বে ও উপজেলা আ’লীগের দপ্তর সম্পাদক সাহিদুল ইসলাম সাহিদের পরিচালনায়, দেওকলসে ইউনিয়ন আ’ লীগের সভাপতি আব্দুল মোমিনের সভাপতিত্বে ও পৌর আ’লীগের যুগ্ম-সম্পাদক আলতাব হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়।
সভাগুলোতে বিশেষ অতিথি’র বক্তব্য রাখেন, জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি নাজনীন হোসেন, দপ্তর সম্পাদক আখতারুজ্জামান চৌধুরী জগলু, কার্যনির্বাহী সদস্য ও বালাগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আনহার মিয়া, জেলা আ’লীগের নির্বাহী সদস্য এএইচএম ফিরোজ আলী, উপজেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহ আসাদুজ্জামান আসাদ, সহ-সভাপতি হিরন মিয়া, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ, যুগ্ম-সম্পাদক মকদ্দছ আলী, সদস্য আবুল কালাম, মিজানুর রহমান মিজান, উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য শেখ শহিদুল ইসলাম, ওসমানীনগর উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি আবদাল মিয়া, সাবেক সহ-সভাপতি সৈয়দ আহমদ বহলুল, উপজেলার খাজাঞ্চী ইউপি চেয়ারম্যান আরশ আলী গণি, লামাকাজী ইউপি’র প্যানেল চেয়ারম্যান-১ এনামুল হক এনাম, যুক্তরাজ্য আ’লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও যুবলীগের সহ-সভাপতি সামশাদুর রহমান রাহীম, নরউইচ নরফোক আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহব্বত শেখ, বৃক্ষ ও কৃষিপ্রেমিক হাফেজ খলিলুর রহমান, উপজেলা যুবলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য আমির আলী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সুহেল আহমদ মুন্না, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আল-আমিনুল হক পান্না, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য ফয়ছল আহমদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি রফিক মিয়া, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি পার্থ সারথি দাশ পাপ্পু, সহ-সভাপতি সুনীল বৈদ্য।বক্তব্য রাখেন আ’লীগ নেতা আছাব উদ্দিন, আহমেদ শরীফ, সুলতান আহমদ, সাইদুল ইসলাম, জিল্লুর মিয়া, মুজিব আহমদ, সিকন্দর আলী, রফিক মিয়া, আনোয়ার হোসেন, যুবলীগ নেতা ফয়ছল আহমদ, নিজাম উদ্দিন মন্টু, রাসেল আহমদ, ফয়জুল ইসলাম জয়, মোহন মিয়া, বেলাল রাজা, মুহিন আহমদ নেপুর, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আসাদ আহমদ, আবুল হাসান, ছাত্রলীগ নেতা আক্তার আহমদ শেখ, আব্দুল মুকিদ, নাদেল মিয়া, তারেক আহমদ প্রমুখ।

You might also like