বিশ্বনাথে সরকারি রাস্তা নির্মাণকাজে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের বাঁধা দেয়ার অভিযোগঃ চরম উত্তেজনা
চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী
সিলেট থেকেঃ সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় সরকারি বরাদ্দে পৌরসভার উদ্যোগে জনস্বার্থে নির্মাণাধীন নতুন সড়ক নির্মাণকাজে বাঁধা প্রদানের অভিযোগ উঠেছে বিশ্বনাথ জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া মাদ্রাসা’র মুহতামিম মাওলানা শিব্বির আহমদসহ মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। জনস্বার্থে রাস্তা নির্মাণ ও বাঁধা প্রদানের ঘটনায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশী টহল অব্যাহত রয়েছে।
১৯ মে শুক্রবার মাগরিবের নামাজের ঠিক পূর্বে মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা শিব্বির আহমদ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-ছাত্রদের সাথে নিয়ে এসে প্রথমে রাস্তা নির্মাণ কাজের প্রতিবাদ জানান। এর একপর্যায়ে মাদ্রাসার ছাত্রদেরকে দিয়ে আরসিসি রাস্তা নির্মাণের জন্য করা সাভব্যাইজ (গর্ত) মাটি দিয়ে ভরাট করে দেন। এ নিয়ে মাওলানা শিব্বির আহমদ ও পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফজর আলীসহ এলাকার জনসাধারণের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।বিশ্বনাথ থেকে সংবাদদাতা জানান, সড়ক ও জনপথের বিশ্বনাথ রামপাশা সড়কের পাশে বাসিয়া নদী থেকে সংযোগ হয়ে রামপাশা পর্যন্ত বিশাল একটি খাল ছিল। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে মাওলানা শিব্বির আহমদ খালটি ভরাট করে দখলে রেখেছেন। সম্প্রতি জনস্বার্থে পৌরসভার বরাদ্দ থেকে সড়ক ও জনপথের ওই ভরাটকৃত খালের উপর একটি আরসিসি ঢালাই রাস্তার কাজ শুরু করা হয়। কিন্তু হঠাৎ করে শুক্রবার সন্ধ্যায় মাওলানা শিব্বির আহমদ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-ছাত্রদের সাথে নিয়ে এসে রাস্তা নির্মাণকাজ জবরদস্তিমূলক বন্ধ করে দেন।
বিশ্বনাথ পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফজর আলী বলেন,জনস্বার্থে সরকারি বরাদ্দের মাধ্যমে নির্মাণাধীন রাস্তার কাজটি নিজেদের স্বার্থের জন্য মাওলানা শিব্বির আহমদ শিক্ষক-ছাত্রদের নিয়ে এসে বন্ধ করে দিয়েছেন।আমি একা নই, মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ রাস্তা নির্মাণকাজে আপত্তি করেছেন জানিয়ে মাওলানা শিব্বির আহমদ বলেন, ১৯৫৯ সাল থেকে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ওই ভূমি ভোগ-দখল করে আসছেন। ইতোমধ্যে ভূমিটি লিজের জন্য সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা চলছে। রাস্তা নির্মাণের পূর্বে মুসল্লী ও মাদ্রাসার কোমলমতি ছাত্রদের চলাচলের কথা বিবেচনা করে উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন ছিল।এ ব্যাপারে পৌর মেয়র মুহিবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ওই ভূমি হচ্ছে সড়ক ও জনপথের। মাওলানা শিব্বির আহমদ দীর্ঘদিন ধরে ওই ভূমি অবৈধভাবে দখল করে তাতে ভাসমান দোকান বসিয়ে চাঁদাবাজি করে আসছেন। এখন আমরা জনস্বার্থে সেখানে একটি রাস্তার কাজ শুরু করেছি, তাতে তিনি বাঁধা দিচ্ছেন। এটা তার জন্য শুভনীয় হবেনা বলে জানান।বিষয় সম্পর্কে বিশ্বনাথ থানার ওসি গাজী আতাউর রহমান বলেন, আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সচেষ্ট রয়েছে। আর পৌরসভা ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে আলোচনা সাপেক্ষে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।