বিশ্বে প্রথম করোনার টিকা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করলো রাশিয়া

আন্তজার্তিক ডেস্ক
সত্যবাণী

রাশিয়া: রাশিয়ার তৈরি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন স্পুটনিক-৫ প্রথম ব্যাচের ডোজ দেশটির নাগরিকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা আইএএনএস এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন প্রকাশ করছে।প্রতিবেদনে বলা হয়,গামেলিয়া ন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টার ও রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের তৈরি স্পুটনিক-৫ নামের টিকাটি অচিরেই আঞ্চলিক পর্যায়ে সরবরাহ শুরু করবে।

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে জানায় , করোনা প্রতিরোধে স্পুটনিক-৫ নামের প্রথম ব্যাচের টিকাটি রোজদ্রাভনাদজোর পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করে জনগণের মধ্যে প্রচারের জন্য উন্মুক্ত করা হচ্ছে। মস্কোর মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন রোববার গণমাধ্যমকে জানান, রাশিয়ার রাজধানীর অধিকাংশ নাগরিককে কয়েক মাসের মধ্যেই টিকা দেওয়া হবে। রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী মিখাইল মুরাস্কো আগষ্টে বলেছেন , আগামী নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাসে তাঁর দেশে টিকা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে। তাঁদের প্রাথমিক লক্ষ্য উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা লোকজন।এর আগে গত ১১ আগস্ট রাশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিশ্বে প্রথম করোনার টিকা অনুমোদন দেয়। দ্রুতগতিতে এ টিকা অনুমোদন দেওয়ায় সারাবিশ্বে তা নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। বিশেষ করে পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলোয় এর কার্যকারিতা নিয়ে নানা প্রশ্ন তোলা হয়েছে। তবে গত সপ্তাহে রাশিয়ার বিজ্ঞানীরা তাঁদের করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করে বলেন, টিকার প্রাথমিক পরীক্ষায় এটি প্রতিরোধী প্রতিক্রিয়ার প্রমাণ দেখাতে পেরেছে।

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, তাঁদের টিকাটি প্রয়োজনীয় সব পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে গেছে। তাঁর এক মেয়েও এ টিকা নিয়েছিলেন। পরে ওই মেয়ের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হতে দেখা গেছে।রাশিয়ার গবেষকেরা মেডিকেল জার্নাল ‘দ্য ল্যানসেট’-এ বলেন, গবেষণায় অংশ নেওয়া প্রত্যেক ব্যক্তির শরীরে তাঁদের টিকা দেওয়ার পর অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে, যা করোনার বিরুদ্ধে লড়তে পারে। এ টিকার বড় কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই। স্পুটনিক-৫ নামের টিকাটি নিয়ে গত জুন ও জুলাই মাসে দুটি পরীক্ষা চালানো হয়। প্রতিটি পরীক্ষায় ৩৮ জন সুস্থ স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে দুই ডোজ করে টিকা ও বুস্টার দেওয়া হয়। প্রথমবার টিকা দেওয়ার তিন সপ্তাহ পর টিকার কার্যক্ষমতা বাড়ানোর বুস্টার প্রয়োগ করা হয়। পরীক্ষায় অংশ নেওয়া স্বেচ্ছাসেবকদের বয়স ছিল ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। তাঁদের ৪২ দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। তিন সপ্তাহের মধ্যে সবার শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হতে দেখা যায়।

You might also like