বিয়ানীবাজারে নৌকার প্রার্থী চূড়ান্ত  হওয়ার পর মিশ্র প্রতিক্রিয়া বিদ্রোহী হচ্ছেন টিটু ও ফারুক!

চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী

সিলেট অফিস থেকেঃ বিয়ানীবাজার পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ঘোষণার পর থেকে পৌর মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন চাওয়া অন্য প্রার্থীদের সমর্থক ও শুভাকাঙ্খীদের মধ্যে প্রকাশ্যে বিভক্তি ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।দলীয় মনোনয়ন চাওয়া বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস টিটু ও বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের সাবেক জিএস ফারুকুল হক এবার দলীয় মনোনয়ন নিয়ে আশাবাদী থাকলেও দলীয় প্রার্থী ঘোষণার পর তাদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করছেন, মেতেছেন টিটু ও ফারুক বন্দনায়। এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চাওয়া ফারুকুল হক ও আব্দুল কুদ্দুস টিটু। ফারুকুল হক বলেন, রাজনীতিতে ত্যাগের মূল্যায়ন নেই। এখানে লবিং যার, প্রতীক তার। আমি বিয়ানীবাজার সিন্ডিকেটমুক্ত করতে চেয়েছিলাম, দল সে সুযোগ দেয়নি। তবে নির্বাচনে মাঠে ফয়সালা হবে বিয়ানীবাজার পৌরসভায় জনগণ কাকে চায়। সাধারণ মানুষ নির্যাতিত মানুষের পক্ষে আছে জানিয়ে ফারুকুল হক বলেন, আমি নির্বাচনে আছি, থাকবো।

আব্দুল কুদ্দুস টিটু বলেন, ৩৪ বছরের রাজনীতি জীবনে দলের জন্য ও মানুষের কল্যাণে কাজ করেছি। কেন্দ্রীয় নেতা ও আমাদের এমপি’র প্রতি আস্থা রেখেছিলাম তবে আমি বৈষম্যের শিকার হয়েছি। আমাদের সাথে তিনি কোনো সাক্ষাৎ বা যোগাযোগ করেননি। কর্মী সমর্থকদের কথা চিন্তা করে এখন পর্যন্ত নির্বাচন করার সিদ্ধান্তে অনঢ় থাকলাম।
সব ঠিক থাকলে শেষসময়ে যদি আব্দুল কুদ্দুস টিটু ও ফারুকুল হক স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন তাহলে বিপাকে পড়তে পারেন আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী আব্দুস শুকুর।