বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শনিবার রাহাত খানের দাফন

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

ঢাকাঃ শুক্রবার (২৮ আগস্ট) রাতে বারডেম হাসপাতালের হিমাগারে রাখা হবে বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক রাহাত খানের মরদেহ।আগামীকাল (শনিবার) বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে তাকে।তবে কখন করা হবে সে সময় এখনও ঠিক হয়নি— এসব তথ্য জানান রাহাত খানের স্ত্রী অপর্ণা খান।এর আগে বিশিষ্ট এই কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন তার স্ত্রী। তিনি আরও বলেন, ‘রাহাত খান রাত সাড়ে ৮টায় তার ইস্কাটন গার্ডেনের বাসায় মারা যান। দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন তিনি।’

করোনাকাল হওয়ায় বাসাতে রেখেই দেশের জনপ্রিয় কথাশিল্পী ও গুণী এই সাংবাদিকের চিকিৎসা চলছিল বলে পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়।কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার জাওয়ার গ্রামের কৃতী সন্তান রাহাত খানের শারীরিক অবস্থা কিছুদিন ধরে খুবই খারাপ যাচ্ছিল।দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস,কিডনির অসুখসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন তিনি।সম্প্রতি খাট থেকে নামার সময় পড়ে পাঁজরের হাড় ভেঙে শয্যাশায়ী হন।জুলাইয়ে বারডেমে বেশ কয়েকদিন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরলেও চিকিৎসকরা সেসময় জানান,চিকিৎসা শাস্ত্রে তার জন্য এখন করণীয় কিছুই নেই।

স্বামীর শারীরিক অবস্থার বর্ণনা দিতে গিয়ে গত ২৫ আগস্ট স্ত্রী সংগীতশিল্পী অপর্ণা খান বলেন, ‘বারডেমে থাকাকালীনই চিকিৎসকরা বলেছিলেন,তাদের কিছু করণীয় নেই। বাসায় নিয়ে আসতে। তবুও আমি দুদিন রেখেছিলাম।কোনো উন্নতি না হওয়ায় বাসায় নিয়ে এসেছি। অবস্থা ভালো নয়।’

অপর্ণা খান বলেন, ‘প্রায় ৩০ বছর ধরেই তার ডায়াবেটিসের সমস্যা। হার্ট ও কিডনিতেও অনেক দিনের পুরনো সমস্যা। তবুও বয়সের অনুপাতে তিনি বেশ ভালো ছিলেন। চলাফেরা করতেন। নিজে খাবার খেতেন। অফিসেও যেতেন মাঝেমধ্যে। সেদিন হঠাৎ পড়ে গিয়ে রাতারাতি মানুষটা শয্যাশায়ী হয়ে গেলেন। পাঁজরের হাড়টি ভেঙে গেছে। অনেক ব্যথা। বারডেমের এম কে আই কাইয়ূম চৌধুরীর অধীনে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছিলাম। তিনি বলেছিলেন, অপারেশন করা লাগতে পারে। কিন্তু ওনার শরীরের যে কন্ডিশন তাতে অপারেশন করা খুব ঝুঁকির কাজ হবে।তাছাড়া অপারেশন করলে হাড় জোড়া লাগবে কিনা, সেটারও নিশ্চয়তা নেই। তাই অপারেশন করা হয়নি। শ্বাসকষ্টের সমস্যা হওয়ায় আইসিইউতে রেখেছিলাম। অবশেষে চিকিৎসকদের কথা মতো বাসায় নিয়ে এসেছি। ২০ দিন ধরে এভাবেই আছে। উন্নতি নেই। বরং অবনতি হয়েছে গত তিন-চারদিনে। কয়েক দিন আগে পায়ে ব্যথা হতো তীব্র। ব্যথার সময় চিৎকার করেছেন। সেই ব্যথাটাও বোধহয় এখন আর উপলব্ধি করতে পারছেন না।’

You might also like