বেচারা বাড়ির চাকর-বাকরের মতো আছে: ফখরুলকে ডা. জাফরুল্লাহ
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের তীব্র সমালোচনা করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, বেচারা বাড়ির চাকর-বাকরের মতো আছে। ভাবছে চাকরি চলে যাবে। তার বক্তব্যে আমার হাসি পেয়েছে।গত ২ সেপ্টেম্বর ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পদে তারেক রহমানকে দায়িত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়ার সমালোচনা করেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি সেদিন বলেন, বিএনপির গঠনতন্ত্র মেনে তারেক রহমানকে ওই দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।এর প্রতিক্রিয়ায় ৬ সেপ্টেম্বর বিএনপি মহাসচিব শহরস্থ কালিবাড়ির নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে বলেন, জাফরুল্লাহ সাহেবের বয়স হয়ে গেছে। তিনি অত্যন্ত সম্মানিত লোক, জ্ঞানী-গুণী লোক। কিন্তু বয়স হয়ে গেলে মানুষ কিছু উল্টাপাল্টা কথা বলতেই পারেন।
তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিবের দাবি, গঠনতন্ত্র অনুযায়ীই তারেক রহমান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পদে আছেন।এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাফরুল্লাহ চৌধুরী জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলেকে বলেন, তারা আমার বয়স নিয়ে চিন্তিত। কিন্তু তারা তো খালি চোখে দেখে না। আমি তো খালি চোখে দেখি। তারা তো ডিমেনশিয়ায় ভোগে, আমি তো ভুগি না। তাদের যে দীনতা, তাদের যে চিন্তার দীনতা তাতে তাদের বয়স হওয়ার আগেই বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছে।তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য বিএনপি কিছুই করেনি। তাদের মাঠে নামতে হবে। ঘরে বসে থাকলে হবে না। তাদের মিথ্যা কথা বলা ছাড়তে হবে। তারেক রহমান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হতে পারেন না। তাদের গঠনতন্ত্র সেটা অনুমোদন করে না।
তিনি দাবি করেন, আমি যা ঠিক মনে করি তাই বলি। সবার সমালোচনা করি। আমি শেখ হাসিনাকেও তো ক্ষমতা ছেড়ে চলে যেতে বলেছি। আমি দেশে রাজনীতি চাই। আমি চাই দেশে রাজনীতি সচল থাকুক। আমি যা ঠিক মনে করি তা সব সময়ই বলব।এ বিষয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু মনে করেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী অবশ্যই গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম সিপাহশালার। তবে এখন প্রধান সমস্যা হলো সরকারের স্বৈরতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা। সেটাকে মূখ্য ধরলে অন্যান্য বিষয় গৌণ।
তিনি ডয়েচে ভেলেকে বলেন, সমস্যাটা হলো উনি একটি পার্টির মূল নেতৃত্ব নিয়ে কথা বলছেন। পার্টির সমালোচনা করছেন। সেটা উনি আমাদের কাছে এসে বলতে পারতেন। যে পার্টিটা এদেশে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দেবে বলে সবাই মনে করে, সেই দলকেই যদি বিতর্কিত করে ফেলি, সেটা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সপক্ষে কাজ করা হচ্ছে কিনা? উনি তো একজন প্রবীণ মানুষ। এটা দেখার জন্যই মহাসচিব ওনাকে অনুরোধ করেছেন।তিনি চাকর-বাকর প্রসঙ্গে বলেন, এ ভাষায় কথা বলাটা সভ্যতার একটু বাইরে চলে যায়। গণতন্ত্র আমাদের ধৈর্য ধরতে, সভ্য হতে শেখায়, গণতন্ত্র আমাদের আগামী দিনের স্বপ্ন দেখায়। এ ধরনের ভাষা স্বৈরতান্ত্রিক ভাষাকেই উৎসাহিত করবে।