বেতন ছাড়া আরও যেসব সুবিধা পান চা শ্রমিকরা

চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী

সিলেট থেকেঃ প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেছেন, চা শ্রমিকদের দৈনিক নগদ মজুরি ১৭০ টাকা করা হয়েছে। এরসঙ্গে অন্য সুযোগ-সুবিধা মিলিয়ে দৈনিক মজুরি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা পড়বে।২৭ আগস্ট শনিবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে চা বাগান মালিকদের নির্ধারিত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।ড. কায়কাউস বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে চা বাগান মালিকদের বৈঠকে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর সঙ্গে প্লাকইন বোনাস, বার্ষিক ছুটি ভাতা, উৎসবভাতা ইত্যাদি আনুপাতিক হারে বাড়বে। ভর্তুকি মূল্যে রেশন, চিকিৎসা সুবিধা, অবসরপ্রাপ্ত চা শ্রমিকদের পেনশন, পোষ্যদের শিক্ষা বাবদ ব্যয় সব মিলিয়ে হয়তো দৈনিক ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা পড়বে। পাশাপাশি শ্রমিকদের বার্ষিক ছুটি ও অসুস্থতাজনিত ছুটিও বাড়বে।তিনি বলেন, ‘একটু ব্যাখ্যা করা দরকার। চা শিল্পে কিন্তু বিভিন্ন ধরনের সুবিধা দেয়া হয়। সেটা মালিকপক্ষ বহন করে। অন্যান্য শিল্পের মালিকপক্ষ কিন্তু তা বহন করে না। তাই নগদ মজুরি ১৭০ টাকা হলেও সব মিলিয়ে মজুরি হবে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা।দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে ৯ আগস্ট থেকে আন্দোলনে নামেন দেশের ১৬৮ চা বাগানের দেড় লাখের বেশি শ্রমিক। সেদিন থেকে চার দিন পর্যন্ত দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করেন তারা। এরপর গত ১৩ আগস্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ শুরু করেন চা শ্রমিকরা।গত ১৯ আগস্ট রাতে মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৪৫ টাকা করার বিষয়ে একটি চুক্তি হলেও সেটি প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন চা শ্রমিকরা। এর মধ্যে কয়েক দফা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হলেও সমাধান হয়নি। অবশেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে চা শ্রমিকদের মজুরি বাড়ল।

You might also like