বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সাকিব,গাড়িরও তো মাঝেমধ্যে পার্টস নষ্ট হয়

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

স্পোর্টস ডেস্ক: দীর্ঘ দেড় যুগের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে বহু সমালোচনার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে সাকিব আল হাসানকে।তবে কখনোই নিজের বোলিং অ্যাশকন নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়নি তাকে।সাকিব নিজের বোলিং নিয়ে বরাবরই ছিলেন আত্মবিশ্বাসী। তাই অলরাউন্ডার হিসেবে যখনই দুটোর একটি বেছে নিতে বলা হতো- তিনি নির্দ্বিধায় স্বীকার করতেন- বোলিংটা তার সহজাত,আর ব্যাটিংটা তিনি চেষ্টা করে আয়ত্তে এনেছেন। সেই সহজাত বোলিং নিয়েই যখন প্রশ্ন উঠে তখন মানসিক অবস্থা কেমন থাকে একজন ক্রিকেটারের?

বরাবরেই মতো এবারও সাকিব চিন্তাহীন।চাপ মুক্ত।নিষেধাজ্ঞার খড়গ নামলে যেখানে যাতা অবস্থা হয়ে যায় বাকিদের;সাকিব সেখানে ভার মুক্ত।সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন সাকিব।কাউন্ডি ক্রিকেট খেলতে গিয়ে গত ডিসেম্বরে বোলিং নিষেধাজ্ঞায় পড়া সাকিব এরপর খেলতে পারেননি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও। বোলিং নিষেধাজ্ঞার কারণে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটেও বাজার কমে গিয়েছিল তার। চাপ বাড়ছিল সব মিলিয়ে।সেই চাপ আরও বাড়ে নিষেধাজ্ঞা কাটাতে পরীক্ষা দিয়ে আবারও ব্যর্থ হলে।তবে হাল ছাড়েননি এই অলরাউন্ডার।শেষমেশ কঠোর পরিশ্রম করে ৯ মার্চ ইংল্যান্ডের লাফবোরো বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে পরীক্ষা দিয়ে বোলিং পরীক্ষায় পাস করেছেন তিনি।কেমন ছিল সাকিবের নিষেধাজ্ঞার সেই সময়টা।ত্রুটিপূর্ণ বোলিং অ্যাকশন জানার পর কেমন অনুভব হয়েছিল দেশসেরা এই অলরাউন্ডারের।তা জানিয়ে সাকিব বলেন, কেমন আর লাগবে!আমার মনে হয়েছে,গাড়িরও তো মাঝেমধ্যে পার্টস নষ্ট হয়। সেগুলো ঠিক করা লাগে।ও রকমই একটা কিছু আমারও হয়েছে,যেটা ঠিক করা লাগবে।সাকিব আরও বলেন,এমন তো নয় যে সব সময়ই এই সমস্যা ছিল।কোনো কারণে এ রকম হতেই পারে।ওটা ঠিক করলেই সব ঠিক হয়ে যাবে,এই বিশ্বাসটুকু সব সময় ছিল।ওই কারণেই অত বেশি চিন্তা করিনি।’

বল হাতে দীর্ঘ দেড় যুগ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দাপিয়ে বেড়ানো সাকিবের হঠাৎ কোথায় সমস্যা হয়েছিল।কাউন্টিতে খেলতে গিয়ে কেন নিষেধাজ্ঞায় পড়তে হলো তাকে।এমন প্রশ্নে তিনি জানান,এ রকম হতেই পারে। আঙুলে অনেক ব্যথা ছিল,অনেক ঠান্ডা ছিল। আর আমার জীবনেই তো আমি একটা টেস্টে বা প্রথম শ্রেণির একটা ম্যাচে কোনো দিন ৭০ ওভার বোলিং করিনি।মনে পড়ে না এত বোলিং আমি কোনো দিন করেছি।’তিনি আরও বলেন, ‘এই সময়ে এসে এত ওভার বোলিং, তার আগে পাকিস্তানে টানা দুই টেস্ট খেলে আসা…ওখানেও অনেক বোলিং করতে হয়েছিল।সবকিছু মিলিয়ে কাঁধ ক্লান্ত থাকতে পারে, আঙুলেও ব্যথা ছিল।ফিটনেসের অবস্থাও হয়তো ওই রকম জায়গায় ছিল না। সবকিছুর যোগফলেও এটা হতে পারে।নির্দিষ্ট করে বলা মুশকিল,কেন এটা হয়েছে।

You might also like