ব্যাটারদের ব্যর্থতায় বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১২৪ রান

স্পোর্টস ডেস্ক
সত্যবাণী

বাংলাদেশঃ সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচেও ব্যর্থ বাংলাদেশের ব্যাটাররা। প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১২৪ রান করেছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ৭ উইকেটে ১২৭ এবং দ্বিতীয়টিতে ৭ উইকেটে ১০৮ রান করেছিলো টাইগাররা।দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে খেলা একাদশ থেকে তিনটি পরিবর্তন নিয়ে আজ মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলতে নামে বাংলাদেশ। সাইফ হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলামের পরিবর্তে সুযোগ পান শামীম হোসেন, শহিদুল ইসলাম ও নাসুম আহমেদ।আগের দুই ম্যাচের মত আজও টস ভাগ্যে জয় পান বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। এবারও প্রথমে ব্যাট করার সিদ্বান্ত নেন টাইগার দলপতি। মোহাম্মদ নাইমের সাথে ইনিংস শুরু করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। পাকিস্তানের হয়ে অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা শাহনাওয়াজ দাহানির করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে বোল্ড হন শান্ত। অফ-মিডল স্টাম্পের বল সোজা ব্যাটে না খেলে, ফ্লিক করতে গিয়ে বোল্ড হওয়ার আগে ৫ বলে ৫ রান করেন শান্ত।শান্তর বিদায়ে উইকেটে এসে প্রথম বলেই বাউন্ডারি মারেন শামীম হোসেন। চতুর্থ ওভারের শেষ দুই বলেও দুই বাউন্ডারি আসে শামীমের ব্যাট থেকে। ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলেও বাউন্ডারি মেরে নিজের আত্মবিশ^াসটা ধরে রাখেন শামীম। কিন্তু অন্যপ্রান্তে টেস্ট মেজাজে ছিলেন নাইম। তাই পাওয়া প্লেতে ৩৩ রান পায় বাংলাদেশ। যার মধ্যে ১৮ বলে ২০ রান ছিলো শামীমের।উইকেট সেট হওয়া শামীম, নিজের ভুলে অষ্টম ওভারে থেমে যান। প্রথমবারের মত আক্রমনে আসা লেগ-স্পিনার উসমান কাদিরকে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন শামীম। ৪টি চারে ২৩ বলে ২২ রান করেন শামীম।

দলীয় ৩৭ রানে শামীমের আউটে ক্রিজে আসেন আফিফ হোসেন। নাইমের সাথে ইনিংসকে বড় করছিলেন আফিফ। তবে সেটি ওয়ানডে স্টাইলে। দশম ওভারে ১টি করে চার ও ছক্কা মারেন নাইম। এতে ১০ ওভার শেষে ২ উইকেটে ৫২ রান পায় বাংলাদেশ। ১২তম ওভারে ২টি ছক্কায় রানের গতি বাড়ান তিনি। কিন্তু ১৪তম ওভারে কাদিরের দ্বিতীয় শিকার হন আফিফ।২টি ছক্কায় ২০ বলে ২১ রান করেন তিনি। তৃতীয় উইকেটে নাইমের সাথে ৪২ বলে ৪৩ রান দলকে এনে দেন আফিফ।এরপর অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহকে নিয়ে ১৭তম ওভারে দলের স্কোর শতরানে নিয়ে যান নাইম। তাই বড় স্কোরের আশা শেষই হয়ে যায় বাংলাদেশের। তারপরও লড়াই করার পুঁিজর জন্য বাংলাদেশ তাকিয়ে ছিলো নাইম-মাহমুদুল্লাহ সোহানদের দিকে, হতাশ করেছেন তারা।

১৯তম ওভারে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন নাইম ও নুরুল হাসান সোহান। ২টি করে চার-ছক্কায় ৫০ বলে ৪৭ রান করেন নাইম। টি-টোয়েন্টি মেজাজে না খেললেও, ছয় ইনিংস পর বলার মত স্কোর নাইমের। আগের ছয় ইনিংসে তার সর্বোচ্চ রান ছিলো ১৭।চার মেরে রানের খাতা খোলা নাইম-সোহানকে শিকার হন পেসার ওয়াসিমের।রউফের করা শেষ ওভারের প্রথমে বলে বাউন্ডারি লাইনের কাছে ওয়াসিমকে ক্যাচ দেন মাহমুদুল্লাহ। ১৪ বলে ১৩ রান করেন অধিনায়ক। পরের চার বলে ১টি বাউন্ডারিতে ৭ রান তুলেন মাহেদি হাসান ও আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। আর শেষ বলে ২ রান নিতে গিয়ে রান আউট হন বিপ্লব। মাহেদি ১টি চারে ৩ বলে অপরাজিত ৫ রান করেন। ৩ রান করেন বিপ্লব। পাকিস্তানের ওয়াসিম-কাদির ২টি করে উইকেট নেন।

You might also like