ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতি ইউকের বাৎসরিক বনভোজন ও আনন্দ ভ্রমণ অনুষ্ঠিত
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
লন্ডন: সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতি ইউকে’র উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো বাৎসরিক বনভোজন ও আনন্দ ভ্রমণ। লন্ডনের উপকন্ঠে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অনন্য ঠিকানা হেসটিংসয়ের সমুদ্র তীরে গত ৭ই অগাস্ট সোমবার, দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সমুদ্রপাড়ের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য আর গ্রীস্মের উজ্জ্বল আবহাওয়ায় লন্ডনে বসবাসকারী ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসিগণ তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে যেনো খুঁজে পান এক অপার আনন্দের উপলক্ষ্য।
আন্দনমূখর এই ভ্রমনে অংশগ্রহণ করেন ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সমিতি’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জনাব খুররম মতিন ও তাঁর পরিবার, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু মুসা হাসান, তাঁর সহধর্মিনী সাংবাদিক নিলুফা ইয়াসমিন হাসান ও পরিবার। এছাড়াও সপরিবারে অংশগ্রহণ করেন সন্মানিত উপদেষ্টা ব্যারিস্টার নজরুল, সহসভাপতি ফারুক হোসেন, জনাব ফয়েজ, জনাব বাহার, জনাব আলআমিন, ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন, সংগঠনের সাবেক সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন ইকো, সাবেক সেক্রেটারি সৈয়দ হামিদুল হক সহ আরো অনেকেই।
সকালের মিষ্টি রোদ গায়ে মেখে পূর্বলন্ডনের রেডব্রিজ থেকে কোচ যোগে শুরু হয় পিকনিক বা বনভোজনের যাত্রা। আয়োজকদের পক্ষ থেকে সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত খসরু উপস্থিত সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সারাদিনের কর্মসূচি তুলে ধরার পর যাত্রা শুরু হয়। যাত্রার প্রাক্কালে কোচেই প্রাতঃরাশ এর আয়োজন ছিল।
এই কোচ ভ্রমণকে গান গেয়ে আনন্দে মাতিয়ে রাখেন বিলেতের প্রথিতযশা শিল্পী ফজলুল বারী বাবু। সাথে কৌতুক পরিবেশন করেন ব্যারিস্টার নজরুল, জনাব ফয়েজসহ অনেকে।
সমুদ্র তীরে পৌঁছানোর পর নানান প্রতিযোগিতামূলক আয়োজনের মাধ্যমে শুরু হয় দিনের কার্যলিপি। শুরুতেই ছিলো বাচ্চাদের জন্য বয়সভিত্তিক লজেন্স দৌড়। পরবর্তীতে মহিলা ও পুরুষদের মিউজিক্যাল চেয়ার, পিলো পাসিং সহ অন্যান্য খেলা। মধ্যাহ্নভোজের জন্যে সকলে মিলিত হন পূর্বনির্ধারিত স্থানীয় একটি বাঙালী রেস্তোরাঁয়। মধ্যাহ্ন ভোজের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সমিতির পক্ষ থেকে সাংবাদিক নিলুফা ইয়াসমীন হাসানকে কেক কেটে বিশেষ সন্মাননা প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য সম্প্রতি নিলুফা ইয়াসমীন হাসান ‘ ইউকে বাংলাদেশ রিপোর্টার্স ইউনিটি থেকে সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য এওয়ার্ড পেয়েছেন।
প্রাত্যহিক কর্মব্যস্ত জীবন থেকে একটু ছুটি পেয়ে সমুদ্রের পাড়ে এসে সকলেই যেনো স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে। অবকাশ পায় প্রকৃতির মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলার। আর তাইতো দুপুরের পর পর পড়ন্ত বিকেলে কেউ কেউ চলে যান উঁচু পাহাড়ের চূড়ায় আকাশকে ছোঁয়ার নেশায়। কেউ আবার নুড়িপাথরের বেলাভূমিতে বসে বিশাল সাগরের অসিম শুন্যতার পানে তাকিয়ে খুঁজে ফিরে পূর্ণতাকে। ছবি তুলে, ফেসবুকে লাইভ করে দিনটিকে স্মরণীয় করে রেখেছেন অনেকেই। আর এভাবেই গড়িয়ে যায় বেলা, সময় হয় ঘরে ফেরার পালা।
খেলাধুলা, খাওয়া দাওয়া, গল্প-গান আর আড্ডায় এভাবেই কেটে যায় বিলেতি গ্রীষ্মের উজ্জ্বল একটি দিন। পড়ন্ত বিকেলে সকলে আবার কোচযোগে রওনা হোন লন্ডনের পথে। ফিরতি পথে আবারো গানে গানে সকলকে মাতিয়ে দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখেন ফজলুল বারী বাবু।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সমিতির সাধারণ সম্পাদক জনাব সাখাওয়াত খসরু, সন্মানিত উপদেষ্টাদ্বয়, মেজবাউদদিন ইকো ও সৈয়দ হামিদুল হকের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে ও সকলের সহযোগিতায় বিলেতের ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীগণ উপভোগ করে একটি অনন্য সাধারণ দিন। পরিশেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সমিতির পক্ষ থেকে ভবিষ্যত কর্মসূচি তুলে ধরেন মেজবাহ উদ্দিন ইকো। জনাব সাখাওয়াত খসরু সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে পরবর্তিতে অন্যান্য সকল আয়োজনেও সাথে থাকার আহ্বান জানান।