ব্রিটিশ রানির এমবিই খেতাব পেলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নাদিয়া
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
লন্ডনঃ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের জন্মদিন উপলক্ষ্যে এ বছর ব্রিটিশ রাজপরিবারের তৃতীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা মেম্বার অব দ্য মোস্ট এক্সিলেন্ট অর্ডার-এমবিইর তালিকায় নাম এসেছে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নাদিয়া সামদানির।ব্রিটিশ সরকারের ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ শাসনকালের ৭০ বছর অতিক্রম করেছেন। এ উপলক্ষ্যে ‘জুবিলি উইকএন্ড’ উদ্যাপনে সেজেছে যুক্তরাজ্য। আর ব্রিটিশ রাজে এমবিই হচ্ছে তৃতীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা।পিআরনিউজওয়্যারের প্রতিবেদনে জানা গেছে, বাংলাদেশ, দক্ষিণ এশিয়া ও যুক্তরাজ্যে বিভিন্ন ধরনের শিল্পকর্মে পরোপকার এবং সহযোগিতা করার জন্য নাদিয়াকে এই সম্মাননা দেয়া হয়েছে।
নাদিয়া সামদানি বিভিন্ন শিল্পকলার উন্নয়নে অবদান রাখছেন। বাংলাদেশে তিনি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান সামদানি আর্ট ফাউন্ডেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা। এই সংগঠনের মাধ্যমে বাংলাদেশি শিল্পিদের তিনি বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছেন। তাতে তাদের কাজগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং সংগ্রহশালায় স্থান পেয়েছে।পাশাপাশি তিনি ঢাকা আর্ট সামিটের পরিচালকও। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে এ প্রদর্শনীতে। ২০২০ সালে এই সামিট ৪ লাখ ৭৭ হাজার দর্শনার্থী পেয়েছিল। আগামী বছর দশম বার্ষিকী উদ্যাপন করবে ঢাকা আর্ট সামিট।নাদিয়া যুক্তরাজ্যের আর্ট গ্যালারি টেটের সাউথ এশিয়া অ্যাকিউজিশনস কমিটি, টেট ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল, আলসারকাল অ্যাভিনিউ প্রোগ্রামিং কমিটি, ডেলফিনা ফাউন্ডেশন ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিলের সদস্য। এ ছাড়া তিনি হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির লক্ষ্মী মিত্তাল সাউথ এশিয়া ইনস্টিটিউটের আর্টস অ্যাডভাইজরি কাউন্সিলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।২০১৭ সালে প্রথম এবং একমাত্র দক্ষিণ এশিয়ান হিসেবে নাদিয়া সামদানি স্বামী রাজীবের সঙ্গে মর্যাদাপূর্ণ মন্টব্ল্যাঙ্ক দে লা কালচার আর্টস প্যাট্রোনেজ পুরস্কার পান।
এবার ব্রিটিশ রাজপরিবারের কাছ থেকে পাওয়া স্বীকৃতি সম্পর্কে নাদিয়া সামদানি বলেন, ‘এক দশকের বেশি সময় ধরে শৈল্পিক প্রতিভাকে সমর্থন ও লালন করার জন্য এই স্বীকৃতি পাওয়া একটি অসাধারণ সম্মান। আমাদের কাজের সঙ্গে বিশাল মাত্রার জনসম্পৃক্ততা, ফাউন্ডেশন কীভাবে বাংলাদেশ এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশের মধ্যে নতুন আন্তঃসাংস্কৃতিক বিষয়গুলোকে উৎসাহিত করেছে তা দেখে খুবই আনন্দ হচ্ছে।তিনি আরও বলেন, ‘রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের রাজত্বের ৭০তম বর্ষপূর্তি উদযাপনের অংশ হিসেবে সম্মাননাটি আসায় আমি খুবই রোমাঞ্চিত। আমি আমার চলমান কাজের ক্ষেত্রে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সেবা এবং প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ঘটাতে চাই।’