ভবিষ্যত প্রজন্মকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে-মেয়র আরিফ

সত্যবাণী
সিলেট অফিসঃ সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন, বর্তমান যুগ হচ্ছে জ্ঞান বিজ্ঞানের প্রসারের যুগ। বিজ্ঞানের উৎকর্ষতার কারণে মানুষের জীবনযাত্রা ক্রমশই উন্নত হচ্ছে। মানুষ দিন দিন বিজ্ঞানের দিকে ঝুঁকছে। তাই একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় শিক্ষার্থীদেরকে তথ্য প্রযুক্তির সমন্বয় করে মেধার রাজ্যে বিচরণ করতে হবে। মেধাবী হওয়ার পাশাপাশি তাদেরকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এজন্য শিক্ষক-অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ের বিকল্প নেই। তরুণ শিক্ষার্থীদের বিদেশমূখীতা থেকে ফিরে এসে নিজের ক্যারিয়ার গঠনের প্রতি জোর দিতে হবে।
তিনি বলেন, প্রফেসর হায়াতুল ইসলাম আখঞ্জী একজন দক্ষ-পরীক্ষিত শিক্ষাবিদ। সিলেটের ১ম স্মার্ট কলেজে তাকে অধ্যক্ষ পদে পাওয়া বিশাল সৌভাগ্যের ব্যাপার। এমন গুণীজনের দায়িত্বে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা সত্যিই ভাগ্যবান। শুধুমাত্র একাডেমিক পরীক্ষায় পাশ করলেই চলবে না। নিজেকে সকল ক্ষেত্রে মেধাবী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। স্কুলজীবন শেষে কলেজজীবনে পদার্পণ জীবনের সোনালী সময়। এই সময়কে অবশ্যই কাজে লাগাতে হবে।
১০ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে সিলেটের জালালাবাদ কলেজের একাদশ শ্রেণীর ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের নবীনবরণ ও ওরিয়েন্টশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথাগুলো বলেন।
অধ্যক্ষ প্রফেসর মো.হায়াতুল ইসলাম আখঞ্জীর সভাপতিত্বে এতে শিক্ষকদের মধ্য বক্তব্য রাখেন সহকারী অধ্যাপক ও কো-অর্ডিনেটর সায়েম আহমদ চৌধুরী, সহকারী অধ্যাপক আয়েশা বেগম, সহকারী অধ্যাপক আব্দুস শাকুর, সহকারী অধ্যাপক আবু সাঈদ প্রমুখ।
প্রভাষক ফরিদ আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে নবাগত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কবির আহমদ, বিপ্লব চন্দ্র দাস, নবাগত শিক্ষার্থী একা রাণী চন্দ্র, রুবেল আহমদ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফাহিমা সুলতানা, সালমা, ফারুক আহমেদ, নজরুল ইসলাম, মেহেদি হাসান জাবেদ, নাবিলা রহমান চৌধুরী, তাহসিন সিদ্দিকা, সাজিদুর রহমান মুরাদ, সাব্বির আহমদ মিজান, সাদিক আহমদ রুবেল, মো: বেলাল আহমদ, জামিল আহমদ, জুবায়ের আহমদ ও মাহমুদুর রহমান সামি প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ প্রফেসর মো.হায়াতুল ইসলাম আখঞ্জী বলেন, আমরা জাতিকে একটি মেধাবী তরুণ প্রজন্ম উপহার দিতে চাই। এজন্য প্রয়োজন কঠিন পরিশ্রম। এসএসসি উত্তীর্ণ হওয়ার পর কলেজজীবনে প্রবেশ মানে উচ্চশিক্ষার সিঁড়িতে পা দেয়া। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে একাদশ শ্রেণীতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি তুলনামুলক কমে যায়। এর প্রভাব পড়ে এইচএসসির ফলাফলে। এতে বদনাম হয় প্রতিষ্ঠানের। শিক্ষার্থীদের শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে অভিভাবকদের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সিলেটের ১ম স্মার্ট হিসেবে যাত্রা করা জালালাবাদ কলেজ সত্যিকারের স্মার্ট মেধাবী শিক্ষার্থী তৈরীতে সফল হবে বলে আমাদের প্রত্যাশা।

You might also like