ভিডিও কলে ফাঁকিবাজি প্রকাশ ছাতকে স্কুল ফাঁকি দেয়ায় ১৪ শিক্ষককে শোকজ

চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী

সিলেট থেকেঃ সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষকরা দেরিতে ডিউটিতে আসার কারণে উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষার মান দিনে-দিনে নিম্নমুখী হচ্ছে।এ নিয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের উদ্যোগে স্কুলের শিক্ষক এবং ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিদের নিয়ে পৃথকভাবে একাধিক সভা হয়েছে। কিন্তু শিক্ষকদের স্কুল ফাঁকি দেয়ার প্রবণতা রোধ করা যায়নি। উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা শহরে বসবাস করেন বিধায় সময়মতো তারা কাজে উপস্থিত হতে পারেননি এমন অভিযোগ রয়েছে বেশ কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে।২২মে সোমবার অভিনব কায়দায় উপজেলার বেশ কয়েকটি বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাসুম মিয়া ও ইউআরসি ইন্সট্রাক্টর মোস্তফা আহসান হাবিব।উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয় থেকে ডিজিট্যাল পদ্ধতিতে বিদ্যালয়গুলো পরিদর্শন করা হয়। প্রথমে মোবাইল ফোনে শিক্ষকদের সাথে কথা হলে শিক্ষকরা কর্মস্থলে রয়েছেন বলে জানান। কিন্তু ওই শিক্ষকদের সাথে যখন ভিডিও কলে কথা হয়, তখন তারা কর্মস্থলে তাদের অবস্থান দেখাতে পারেননি। অবশ্য অনেকেই তাদের অবস্থান বিদ্যালয়ে রয়েছে বলে নিশ্চিত করেন।

কর্মস্থলে রয়েছেন মোবাইল ফোনে স্বীকার করা এমন ১১টি বিদ্যালয়ের ১৪জন শিক্ষক ভিডিও কলে বিদ্যালয়ে তাদের অবস্থান দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন। মোবাইল ফোনে ভিডিও কলের মাধ্যমে সকাল ৯টা থেকে ১০.১০ মিনিট পর্যন্ত বিদ্যালয় পরিদর্শন করা হয়।
বিদ্যালয়ে সময়মতো উপস্থিত না হয়ে বিভিন্ন ধরণের ছল-চাতুরীর আশ্রয় নিয়েছেন এমন ১৪ শিক্ষককে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।শোকজপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন গদারমহল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহিনা বেগম, সহকারী শিক্ষক শুধাংশু শেখর দাস ও কবির আহমদ। এই বিদ্যালয়ের ৩ জন শিক্ষকই অনুপস্থিত ছিলেন। ছৈলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান ও হাসনা বেগম, সৈদেরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কবির আহমদ, রসুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মরতুজ আলী, কামরাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মুকিত, সদুখালি-নোয়াগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরিফা বেগম, ভাতগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাসিরা বেগম, গণিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাবিনা বেগম, গোয়ালগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রুমেনা বেগম, বড় পল্লীরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তুলসী রাণী দেবনাথ ও চরবাড়ুকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পান্না বেগমকে শোকজ নোটিশ দেয়া হয়েছে।

You might also like