ভ্যাপসা গরমে সিলেটে অস্বস্তি
চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী
সিলেট থেকেঃ জ্যৈষ্ঠের কাঠফাটা রোদে সিলেটের জনজীবন অসহ্য করে তুলেছে। প্রখর রোদ আর তীব্র গরম থেকে বাঁচতে একটু শীতল ছায়া, ঠা-া পানি আর মৌসুমি ফলই যেন সিলেট অঞ্চলের মানুষের এখন একমাত্র ভরসা। বিশেষ করে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ পড়েছেন চরম ভোগান্তি আর যন্ত্রণার মধ্যে। ভ্যাপসা গরমের ফলে স্বস্তি নেই ঘরের মধ্যেও। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এই তাপপ্রবাহ থাকবে আগামী ৮জুন পর্যন্ত।এদিকে, তীব্র তাপমাত্রায় হাঁসফাঁস দশায় পড়েছে মানুষ। নগর ছাড়িয়ে গ্রাম, সর্বত্র গরমের তীব্রতায় ভুগছে মানুষ। দিনে-রাতে সমানতালে গরমের দাপট। অস্বাভাবিক তাপদাহের কারণে জ্বর, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট, চর্মরোগ, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগব্যাধিতে প্রায় ঘরে ঘরে অসুস্থ হচ্ছে মানুষ। হাসপাতাল-ক্লিনিক, ডাক্তারের চেম্বারে বাড়ছে রোগীর ভিড়। বিপাকে পড়েছেন রিকশাচালক, ভ্যানচালক, হকারসহ সাধারণ কর্মজীবীরা।
সোমবার নগরির বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, দুপুরের কড়া রোদ এড়াতে রাস্তাঘাটে মানুষজন ছাতা ব্যবহার করতে দেখা গেছে। আবার কেউ কেউ ছায়াযুক্ত স্থানে বসে বিশ্রাম নিচ্ছেন। রিকশা-ভ্যান-ঠেলাগাড়ি চালক ও দিনমজুরসহ কায়িক শ্রমে জড়িত বিভিন্ন পেশার মানুষের জীবন এখন ওষ্ঠাগত। অতিরিক্ত ঘাম ঝরিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়ছে শরীর। বিভিন্ন পয়েন্টে ভ্যানে করে বরফযুক্ত ফিল্টারে করে লেবুর শরবত ও আখের রস বিক্রি করতে দেখা গেছে। অসহ্য গরমের সঙ্গে অনেক জায়গায় লোডশেডিংয়ে জনজীবনে নাভিশ্বাস ওঠার উপক্রম হচ্ছে। কাঠফাটা রোদের তেজ আর গরমের দাপটে কার্যত নাকানি-চুবানি অবস্থা।আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে গত ক’দিন ধরে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই তাপপ্রবাহের কারণেই এমন গরম অনুভূত হচ্ছে। গরমের এই তীব্রতার কারণে এখন সবাই বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে আছে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা সহনীয় হয়ে উঠবে বলে সবাই আশা করে আছেন।এ ব্যাপারে সিলেট আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা সজিব আহমদ জানান, সোমবার সিলেটের সর্বোচ্চ তামপাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলিয়াস ও সর্বনিম্ন ২৬ দশমিক ২৭ ডিগ্রি সেলিয়াস। আগামী ৮ জুন পর্যন্ত এমন তাপপ্রবাহ থাকবে বলে তিনি জানান।