মহানগর আ’লীগের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল

চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী

সিলেট থেকেঃ বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শাসনামলে সংঘটিত দেশজুড়ে সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করছে আওয়ামী লীগ। ২০০৫ সালে ১৭ আগস্ট বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ৬৩ জেলার পাঁচ শতাধিক জায়গায় সিরিজ বোমা হামলা চালানো হয়। তারপর থেকে দিনটি সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদ দিবস হিসেবে পালন করে আসছে আ’লীগ।বুধবার দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলা প্রতিবাদে সিলেট মহানগর আ’লীগ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে। বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে মহানগর আ’লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ বলেছেন, আগস্ট মাস শোকের মাস। আগস্ট মাসেই আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবারসহ শহীদদের হারিয়েছি। আপনারা জানেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলা গড়ার জন্য এই দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করে জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসেন। এরপরে স্বাধীনতা বিরোধী ও তাদের দোসররা জননেত্রীকে শান্তিতে থাকতে দেয়নি।

নেত্রীর ওপর বিভিন্নভাবে হামলা হয়েছে। এই আগস্ট মাসেই কয়েকটি হামলা করা হয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের মদদে জঙ্গিগোষ্ঠী ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলা চালায়। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট জননেত্রীকে হত্যা করার উদ্দেশ্যেও বোমা হামলা করেছিল। মূলত আ’লীগসহ দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে নিশ্চিহ্ন করতে এই হামলা করা হয়। বিএনপি-জামায়াত গোষ্ঠীর ষড়যন্ত্রেই এটা হয়েছিল। কিন্তু সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রতিবাদে আজ রাজপথে সরব মহানগর আ’লীগ। তিনি সবার উদ্দেশ্যে বলেন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনে সবাইকে সর্বদা সোচ্চার হতে হবে। কারণ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের স্থান নেই।অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসেন বলেন, সিরিজ বোমা হামলা দিবসের প্রতিবাদে মহানগর আ’লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন আজকের মানববন্ধন কর্মসূচি ও কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল পালন করছে। দেশবাসী দেখেছেন ২০০৪ সালে এই জঙ্গিগোষ্ঠী প্রথমে সিলেট দরগাহে হযরত শাহজালাল (রহঃ) মাজারের ওরশে এবং ব্রিটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরীকে হত্যার উদ্দেশ্যে জঘন্য বোমা হামলা চালিয়েছিল। পরবর্তীতে একই বছরের ৭ আগস্ট গুলশান সেন্টারে মহানগর আ’লীগের আলোচনা সভায় তারা বোমা নিক্ষেপ করে ইব্রাহিম আলীকে হত্যা করেছিল এবং আমিসহ মহানগরের অনেক নেতা সেদিন আহত হয়েছিলেন। এখনো আমরা স্প্রিন্টারের যন্ত্রণা নিয়ে বেঁচে আছি। একই ধারাবাহিকতায় ২০০৫ সালের ১৭ আগষ্ট সারাদেশে একযোগে জেএমবি নামের জঙ্গি সংগঠন পরিকল্পিতভাবে দেশের ৬৩টি জেলায় একই সময়ে সিরিজ বোমা হামলা চালায়। কিন্তু গ্রেনেড হামলার পরেও আ’লীগ ঘরে বসে থাকেনি। শরীরে গ্রেনেডের স্প্রিন্টার নিয়েও আমরা রাজনীতির ময়দান ত্যাগ করিনি। যে কোনো দুর্যোগ ও দুর্বিপাকে আ’লীগ আরও বেশি শক্তিশালী হয়ে রাজপথে সক্রিয় থেকেছে। তার প্রমাণ ইতোমধ্যে নেতাকর্মীরা দিয়েছে। আজ মহানগর, ওয়ার্ড, এবং নবগঠিত ওয়ার্ড আ’লীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করেছেন। এটাই প্রমাণিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু, জননেত্রী শেখ হাসিনা, আ’লীগ এবং সাধারণ জনগণের প্রশ্নে আ’লীগের কোনো আপোষ নেই। আ’লীগ তা প্রতিহত করবেই। আজ শ্লোগানে শ্লোগানে প্রকম্পিত রাজপথ। যেখানে নৈরাজ্য পরিলক্ষিত হবে, সেখানেই প্রতিহত করা হবে।

নগর আ’লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসেনের পরিচালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন নগর আ’লীগের সহ-সভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, ফয়জুল আনোয়ার আলাওর, বিজিত চৌধুরী, নুরুল ইসলাম পুতুল, এ্যাডভোকেট প্রদীপ কুমার ভট্টাচার্য্য, মোঃ সানাওর, জগদীশ চন্দ্র দাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এটি.এম হাসান জেবুল, বিধান কুমার সাহা, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য তপন মিত্র, মখলিছুর রহমান কামরান, খন্দকার মহসিন কামরান, নজমুল ইসলাম এহিয়া, আব্দুর রহমান জামিল, আজাহার উদ্দিন জাহাঙ্গীর, মহিউদ্দিন লোকমান, আসমা বেগম, সেলিম আহমদ সেলিম, আজিজুল হক মঞ্জু, রজত কান্তি গুপ্ত, ডাঃ মোহাম্মদ হোসেন রবিন, অমিতাভ চক্রবর্ত্তী রনি, সোয়েব আহমদ, সদস্য আব্দুল আহাদ চৌধুরী মিরন, মোঃ আব্দুল আজিম জুনেল, মোঃ শাজাহান, মুক্তার খান, এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাহিদ, সারোয়ার সবুজ, এমরুল হাসান, সুদীপ দেব, সাব্বির খান, সৈয়দ কামাল, সাইফুল আলম স্বপন, রোকসানা পারভীন, ওয়াহিদুর রহমান ওয়াহিদ, জাফর আহমদ চৌধুরী, জামাল আহমদ চৌধুরী, খলিল আহমদ, আবুল মহসিন চৌধুরী মাসুদ, ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান সুহেদ, রকিবুল ইসলাম ঝলক, ইলিয়াছ আহমেদ জুয়েল, উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট আব্দুল মালিক, আব্দুল মালিক সুজন, সুবাস চন্দ্র ঘোষ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সত্যেন্দ্র দাস তালুকদার খোকা বাবু, কানাই দত্ত।
অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন নেতৃবৃন্দের মধ্যে মহানগর শ্রমিক লীগ সভাপতি এম শাহরিয়ার কবির সেলিম, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আলম রুমেন, মহানগর মহিলা আ’লীগ সভাপতি শাহানারা বেগম, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাবিনা সুলতানা, মহানগর যুবলীগ সভাপতি আলম খান মুক্তি, সাধারণ সম্পাদক মুশফিক জায়গিরদার, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশ দাস মিঠু, মহানগর কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব বাবলু, মহানগর তাঁতী লীগ সভাপতি নোমান আহমদ, মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমেদ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের জুনেদ আহমদ শওকত, হায়দার মোঃ ফারুক, জালাল উদ্দিন শাবুল, সালউদ্দিন বক্স সালাই, দেলোওয়ার হোসেন রাজা, ইসমাইল মাহমুদ সুজন, মোঃ নিজাম উদ্দিন ইরান, মুফতি আব্দুল খাবির, তাজ উদ্দিন লিটন, জাহিদুল হোসেন মাসুদ, জায়েদ আহমেদ খাঁন সায়েক, নজরুল ইসলাম নজু, শেখ সুরুজ আলম, মোঃ বদরুল ইসলাম বদরু, মানিক মিয়া, এ্যাডভোকেট বিজয় কুমার দেব বুলু, আহমেদ হান্নান, মাহবুব খান মাসুম, মঈনুল ইসলাম মঈন, ফজলে রাব্বি মাসুম, শেখ সোহেল আহমদ কবির, জাবেদ আহমদ, সেলিম আহমদ সেলিম, মোঃ ছয়েফ খাঁন, এ্যাডভোকেট আরিফ আহমদ, সোয়েব বাসিত, এম.এন ইসলাম, জাবের আহমদ, এম.এ খান শাহীন, সাজোয়ান আহমদসহ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতা-কর্মী।

You might also like