মামলায় খালাস পেয়ে অঝোরে কাঁদলেন মির্জা আব্বাস
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ দুদকের দায়ের করা দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস পেয়ে অঝোরে কাঁদলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। বললেন, আমার জীবন থেকে বিগত ১৭টি বছর আওয়ামী লীগ সরকার কেঁড়ে নিয়েছে, জীবন ধ্বংস করে দিয়েছে।বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ-৪ এর বিচারক রবিউল আলমের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। মির্জা আব্বাসের আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন।রায় ঘোষণার সময় মির্জা আব্বাস ও তাঁর স্ত্রী আফরোজা আব্বাসও আদালতে উপস্থিত ছিলেন।এদিন বেলা সাড়ে ১২টার পর মির্জা আব্বাস আদালতে হাজির হন। দুপুর ১টা ১৭ মিনিটে বিচারক এজলাসে ওঠেন। পরে আদালত এ মামলার রায় পড়া শুরু করেন।
রায়ে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় বিচারক তাকে খালাস দেন।এজলাস থেকে বের হয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমার পরিবার ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। একভাই মারা গেল আমেরিকায়, আরেক ভাই দীর্ঘদিন বাইরে আছে। আমি নিজে দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ অবস্থায় আছি।তিনি আরও বলেন, “সরকারের কাছে আবেদন, যে ভ্যানগুলোতে আমাদের আনা-নেওয়া করা হয়েছে তা যেন প্রত্যাহার করা হয়। আমার জীবন থেকে বিগত ১৭টি বছর আওয়ামী লীগ সরকার কেঁড়ে নিয়েছে, জীবন ধ্বংস করে দিয়েছে। শুধু আমি নয়, বাংলাদেশে আমার মতো বহু নেতাকর্মীর জীবন শেষ করে দিয়েছে। ১৭ বছর পর হলেও এই রায় আমরা অর্জন করেছি।মামলার আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আজ দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মীর আহমেদ আলী সালাম এ মামলা প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত বিচারাধীন মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন মঞ্জুর করে তাঁকে (মির্জা আব্বাস) খালাস দেন।জানা যায়, ২০০৬ সালে পূর্তমন্ত্রী থাকাকালে প্যাসিফিক কেমিক্যালস নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে তেজগাঁও শিল্প এলাকায় ১৯ দশমিক ৪৪ কাঠা জমি বরাদ্দ দেন। দুদকের অভিযোগ, বিএনপির সাবেক এমপি আলী আসগর লবীসহ মাহফুজুল ইসলাম নামের এক সরকারি কর্মকর্তার যোগসাজশে অনিয়মের মাধ্যমে এ প্লট বরাদ্দ দেন।এ অভিযোগে দুদকের তৎকালীন উপ-পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন শাহবাগ থানায় ২০০৭ সালের ১৫ জুলাই একটি মামলা করেন। পরের বছর ১১ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।