মামুন-বাবুনগরীর বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবেদন ৩ ফেব্রুয়ারি

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

ঢাকাঃ ভাস্কর্য নিয়ে সমালোচনা ও হুমকি দেওয়ার হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী, খেলাফত মজলিসের নেতা মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। এজন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকি বিল্লাহ প্রতিবেদন দাখিলের এ তারিখ ঠিক করেন।এর আগে, গত ৭ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল মামলা দায়ের করেন। ওইদিন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল মালেক ওরফে মশিউর মালেক মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলারও তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দাখিলের তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছেন একই আদালত।

মামলায় মামুনুল হক সম্পর্কে বলা হয়, গত ১৩ নভেম্বর বিএমএ মিলনায়তনে বাংলাদেশ যুব খেলাফত মজলিসের ঢাকা মহানগর শাখার সমাবেশে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতা করে মামুনুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য গড়তে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে লাশের পর লাশ পড়বে। আবার শাপলা চত্ত্বর হবে। সমাবেশে যুব মজলিসের কর্মীদের এজন্য প্রস্তুত থাকতে বলেন তিনি।মামলায় অভিযোগ করা হয়, মামুনুল হকের বক্তব্যের পর একটি শ্রেণি বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতা করে একের পর এক বক্তব্য দিচ্ছেন। দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে।

মামলায় সৈয়দ ফয়জুল করিম সম্পর্কে বলা হয়, গত ১৩ নভেম্বর এ আসামি যাত্রাবাড়ির গেন্ডারিয়ায় তৌহিদী জনতার ব্যানারে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে, ‘আন্দোলন করবো, সংগ্রাম করবো, জিহাদ করবো। রক্ত দিতে চাইনা, দিলে বন্ধ হবে না। রাশিয়ার লেলিনের ৭২ ফুট মূর্তি যদি ক্রেন দিয়ে তুলে সাগরে নিক্ষেপ করতে পারে তাহলে শেখ সাহেবের মূর্তি আজকে হোক কালকে হোক তুলে বুড়িগঙ্গায় নিক্ষেপ করবেন’ বলে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেন।

মামলায় বাবু নগরী সম্পর্কে বলা হয়, এ আসামি মামুনুল হক ও ফয়জুল করিমের পরামর্শ ক্রমে গত ২৭ নভেম্বর হাটহাজারীতে বলেছেন, মদিনা সনদে যদি দেশ চলে তাহলে কোনো ভাস্কর্য থাকতে পারে না। ভাস্কর্য নির্মাণ থেকে সড়ে না দাঁড়ালে আরেকটি শাপলা চত্ত্বরের ঘটনা ঘটবে এবং ভাস্কর্য ছুঁড়ে ফেলবেন।মামলায় বলা হয়, আসামিদের এ ধরনের বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। ধর্মকে কাজে লাগিয়ে আসামিরা রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে সাধারণ মুসলমানদের ক্ষেপিয়ে তুলে প্রকারান্তরে রাষ্ট্র ও সমাজের মধ্যে ঘৃণা ও শত্রুতার মনোভাব সৃষ্টি করেছেন। আসামিদের উস্কানিমূলক বক্তব্যে উদ্বুব্ধ হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনের মধুদার ভাস্কর্য এবং কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙ্গে ফেঙে হয়েছে।

You might also like