মিরসরাইয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ১১ যাত্রী নিহত
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ১১ যুবক নিহত হয়েছে।মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝর্ণা দেখে ফেরার পথে তারা এ দুর্ঘটনার শীকার হন।আজ শুক্রবার দুপুর পৌনে একটার দিকে খৈয়াছড়া ইউনিয়নের পূর্ব খৈয়াছড়া গ্রামের রেলক্রসিংয়ে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে।পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার সকালে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার আমানবাজার এলাকা থেকে একটি মাইক্রো বাসযোগে খৈয়াছড়া ঝর্ণা দেখতে যান চালকসহ ১৬ যুবক। ঝর্ণা দেখে ফেরার পথে দুপুর পৌনে একটার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মহানগর প্রভাতী ট্রেন তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই চালকসহ ১১ জন নিহত হন । এছাড়া এ দুর্ঘটনায় আহত হন আরও ৫ জন। তানভীর হাসান হৃদয়সহ আহত ৫ জনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে মিরসরাই সদরের একটি বেসরকারি হাসপাতাল নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে পরে তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। হৃদয় হাটহাজারী থানার আমান বাজার শিকারপুর এলাকার প্রবাসী আব্দুর রহমানের ছেলে। তিনি হাটহাজারীর কেসি জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি শিক্ষার্থী। আহত অন্যদের পরিচয় জানা যায়নি।
এদিকে দুর্র্ঘটনার পরপর মিরসরাই থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের উদ্ধার কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মাইক্রোবাস থেকে হতাহতদের উদ্ধার করেন। দুর্ঘটনার কারন জানতে রেলওয়ের পক্ষ থেকে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সহকারি পুলিশ সুপার (মিরসরাই সার্কেল) লাবিব আব্দুল্লাহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন মাইক্রোবাসের চালকসহ ১১ যুবক। আহত ৫ জনকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতদের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। জানা গেছে, তারা চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার আমানবাজার থেকে ঝর্ণা দেখতে এসেছিলেন। তারা আমান বাজারের আর এন জে কোচিং সেন্টারের শিক্ষার্থী। দুর্ঘটনার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ৪ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর পুনরায় ট্রেন চলাচল শুরু হয়। চট্টগ্রাম জিআরপি পুলিশের সীতাকু- ফাঁড়ির ইনচার্জ (উপ-পরিদর্শক) খোরশেদ আলম জানান, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হতে কিছুটা সময় লাগবে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দুর্ঘটনাকবলিত মাইক্রোবাসটি কেটে কেটে লেন থেকে সরানোর চেষ্টা করছেন ।