মিরসরাই ট্র্যাজেডির ১১ বছরেও থামেনি স্বজনদের আহাজারি

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

মিরসরাই,চট্টগ্রাম: মিরসরাই ট্র্যাজেডির ১১ বছর পূর্ণ হল ১১ জুলাই (সোমবার)। আবারও স্মরণকালের সেই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার ভয়াল স্মৃতি হাজির হয়েছে কান্না, আর্তনাদ আর আহাজারি হয়ে। চোখের সামনে ভেসে ওঠে কারও ভাই, সন্তান, বন্ধু-স্বজন, সহপাঠী কিংবা প্রিয় ছাত্রদের অকালে ঝরে যাওয়ার দৃশ্যপট।২০১১ সালের ১১ জুলাই সোমবার একটি সড়ক দূর্ঘটনা শোকবিহ্বল করে তুলছিল সমগ্র জাতিকে। সেদিন মিরসরাই উপজেলা সদরের ষ্টেডিয়াম থেকে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল খেলা দেখে বাড়ি ফেরার পথে বড়তাকিয়া আবুতোরাব সড়কের সৈদালী এলাকায় চালকের অসতর্কতায় প্রায় ৮০ জন শিক্ষার্থীকে বহনকারী একটি মিনি ট্রাক উল্টে পার্শ্ববর্তী ডোবায় পড়ে যায়। এই ঘটনায় আবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয়, আবুতোরাব কলেজ, আবুতোরাব সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩৮ জন শিক্ষার্থী ও একজন এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে নিহত হয়।

পরবর্তী সময়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আরো ছয়জন। তাদের মধ্যে ছিল ৪২ জন শিক্ষার্থী, দুই স্থানীয় কিশোর এবং একজন অভিভাবক। ৪৫টি তাজা প্রাণ মুহূর্তেই স্মৃতি হয়ে মিলিয়ে যায় সেদিনের সেই ভয়াবহ দুর্ঘটনায়। লাশের মিছিল ভারী হয়ে ওঠে গ্রামের পর গ্রাম। শোকের জনপদে পরিণত হয়েছিল মায়ানী, আবুতোরাব, মঘাদিয়াসহ পার্শ্ববর্তী সাতটি গ্রাম। আজও সেই স্মৃতিসৌধ ‘অন্তিম’ পাশে এলেই গা শিউরে ওঠে স্বজন-সহপাঠী কিংবা পথচারীদের।ভয়াল এই দিনটিকে স্মরণ করে প্রতিবারের মতো এবারও স্থানীয়ভাবে নেওয়া হয়েছে সংক্ষিপ্ত কর্মসূচি। ১১ বছর বর্ষপূতিতে সামনে রেখে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে নেওয়া এসব কর্মসূচি। কর্মসূচিতে থাকছে স্মৃতি বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, অন্য ধর্মাবলম্বীদের বিশেষ প্রার্থনা।এ বিষয়ে আবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মর্জিনা বেগম জানান, আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছি। সকালে স্মৃতিস্তম্ভ-এ সর্বস্তরের মানুষ ফুল দিয়ে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবে ও তাদের আত্নার মাগফিরাত কামনা জন্য দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।

You might also like