মিয়ানমারের সেনা অভ্যুত্থান ব্যর্থ করতে জাতিসংঘের আহ্বান
আন্তজার্তিক ডেস্ক
সত্যবাণী
নিউ ইয়র্ক: মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের সমাপ্তি দেখতে চায় জাতিসংঘ।এটি নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস। অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে একটি নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে নিন্দা প্রস্তাব এনেছিল জাতিসংঘ। যদিও এরই মধ্যে সেটিকে আটকে দিয়েছে ক্ষমতাধর রাষ্ট্র চীন ও রাশিয়া।নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগে সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) দেশটির ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির নেত্রী অং সাং সু চি ও প্রেসিডেন্টসহ শীর্ষ নেতাদের আটক করে সেনাবাহিনী। মূলত এরপরই এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা ও ক্ষমতা দখল করে তারা।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেছিলেন, এই অভ্যুত্থান ব্যর্থ করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে নিয়ে মিয়ানমারের ওপর পর্যাপ্ত চাপ তৈরির যথাসাধ্য চেষ্টা করব। আমরা বিশ্বাস করি দেশটির নির্বাচন সাধারণভাবেই হয়েছিল। নির্বাচনের পর এই রূপান্তর অগ্রহণযোগ্য।মিয়ানমারে সাংবিধানিক শাসন পুনঃ প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বিষয় নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সব সদস্য একমত হবে বলে আমি আশাবাদী।১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদ এই বিষয়ে একটি সম্ভাব্য বিবৃতি নিয়ে আলোচনা করছে। এই বিবৃতির প্রাথমিক খসড়া তৈরি করেছে ব্রিটেন। সেখানে অভ্যুত্থানের নিন্দা, সেনাবাহিনীকে আইনের শাসন ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা এবং আটককৃতদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
যদিও বিবৃতিটি প্রকাশ করতে হলে সদস্যদের একমত হতে হবে। কূটনীতিকরা বলছেন, নিরাপত্তা পরিষদে এমন প্রস্তাব ফের আটকে দিতে পারে মিয়ানমারের অন্যতম মিত্র চীন ও রাশিয়া। এটি পাস করাতে হলে বিবৃতির ভাষা আরও নরম করতে হবে।গুতেরেসের মতে, মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সাং সু চিকে যদি আমরা কোনো কিছুর জন্য দোষারোপ করি তা হলো- তিনি সামরিক বাহিনীর খুব কাছের ছিলেন। সামরিক বাহিনীকে রক্ষা করেছিলেন। যা রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সামরিক বাহিনীর নাটকীয় আক্রমণের সঙ্গে সম্পৃক্ত।২০১৭ সালে রাখাইনে ভয়াবহ নির্যাতনের মুখে পড়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় সাত লক্ষাধিক রোহিঙ্গা। যারা এখনো শরণার্থী শিবিরে রয়েছে। জাতিসংঘ ও পশ্চিমা দেশগুলো এটিকে জাতিগত নিধন হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।গুতেরেস জানিয়েছে, অভ্যুত্থানের সময় সামরিক বাহিনীর দ্বারা আটককৃত সকলকে মুক্তি দিতে হবে এবং সাংবিধানিক আদেশ পুনরুদ্ধার করতে হবে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে বোঝা উচিত যে এভাবে একটি দেশ শাসন করা যায় না এবং এটি এগিয়ে যাওয়ার উপায় নয়।