মুক্তিযুদ্ধে মিত্রবাহিনীর ৩০ সদস্যকে সংবর্ধনা
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মিত্রবাহিনীর ভারতীয় সদস্যদের সংবর্ধনা দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। শনিবার রাতে (২৭ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে মুক্তিযুদ্ধে সহায়তাকারী ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর ৩০ সদস্যকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী সাজ্জাদ আলী জহির (বীর প্রতীক), ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুনসহ ভারতীয় হাইকমিশন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সশস্ত্র বাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মিত্রবাহিনীর সদস্য হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া ভারতের সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল নারায়ণ শংকর নায়ারের নেতৃত্বে ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সদস্যরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সরকারের আমন্ত্রণে বাংলাদেশে এসেছেন।বিদেশি বন্ধুদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান বাংলাদেশের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর অবদানের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘প্রায় এক কোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়ে, খাবার দিয়ে, প্রশিক্ষণ দিয়ে ভারত সহায়তা না করলে এত অল্প সময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হতে পারত না। স্বাধীনতার কয়েক মাস পরই ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সদস্যদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে বন্ধুত্বের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ভারত।মন্ত্রী আরও বলেন, ‘একাত্তরের বন্ধুদের বাংলাদেশ যথাযথ সম্মান করে।’ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী ভারতীয় সেনাদের স্মরণে আশুগঞ্জে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানান মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী।রক্তের বিনিময়ে ভারত ও বাংলাদেশের যে বন্ধন সৃষ্টি হয়েছে তা দিনে দিনে দৃঢ় হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।সংবর্ধনার পর অতিথিরা নৈশভোজে অংশগ্রহণ করেন।