মুজিববর্ষেই সর্বস্তরে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

ঢাকাঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,মুজিববর্ষেই সর্বস্তরে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আওয়ামী লীগ সরকার ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে।এসব রূপকল্পের বাস্তবায়নসহ জাতিসংঘ ঘোষিত ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-২০৩০’ অর্জনেও আমরা বদ্ধপরিকর।মঙ্গলবার (৯ জুন) বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস উপলক্ষে সোমবার এক বাণীতে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

তিনি বলেন,বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস উদযাপন দেশের খাদ্য শিল্পের মান ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন এবং সামনের দিনগুলোতে সবার জন্য নিরাপদ এবং গুণগতমানসম্পন্ন খাদ্য নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।এ বছর ভিন্ন একটি প্রেক্ষাপটে দিবসটি পালিত হচ্ছে।সারা বিশ্বে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ দেখা দিয়েছে। করোনা সংক্রমণসহ সকল প্রকার স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে সারা বিশ্বকে আজ একযোগে কাজ করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে।এ মহামারি থেকে একে অপরকে রক্ষা করতে। জনগণকে কর্মক্ষেত্র,বাসস্থান এবং বাইরে সর্বত্রই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

তিনি বলেন,আওয়ামী লীগ সরকার নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহ নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের সরকারের নীতি-সহায়তা এবং প্রণোদনার ফলে খাদ্য ও কৃষিভিত্তিক শিল্পখাত ধীরে ধীরে উদীয়মান শিল্প হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন,আমাদের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) জাতীয় মান অবকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যে উৎপাদিত পণ্য ও সেবার মানোন্নয়ন,ভোক্তার অধিকার প্রতিষ্ঠায় সহায়তা এবং ব্যবসা বাণিজ্যের সম্প্রসারণ তথা দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে আসছে।তিনি বলেন, বিএবি ২০১২ সালে প্রথম অ্যাক্রেডিটেশন প্রদান করে এবং এখন পর্যন্ত দেশীয়, আন্তর্জাতিক ও বহুজাতিক মিলে মোট ৭৯টি প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অ্যাক্রেডিটেশন প্রদান করেছে। বিএবি’র অ্যাক্রেডিটেশনের ফলে দেশের বিভিন্ন সেবার মান পরীক্ষণ,পরিদর্শন ও সার্টিফিকেশনসহ প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের পরিধি ও সক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে,যা দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারসহ রফতানি বাণিজ্য সম্প্রসারণে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন,সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী প্রতিবছর খাদ্যবাহিত রোগে সারা বিশ্বে প্রায় ৪ লাখ ২০ হাজার মানুষ মারা যায়, যার ৩০ শতাংশই পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু। তাই জাতিসংঘ খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-২০৩০’ এর ১, ২, ৩, ৪, ৬, ৮, ৯ এবং ১১ নং অভীষ্টে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অন্তর্ভুক্ত করেছে।

তিনি বলেন, খাদ্য উৎপাদন এবং সরবরাহ ব্যবস্থার বিভিন্ন স্তরে গুণগতভাবে নিশ্চিত করে নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ করা একটি দূরহ ব্যাপার, যা বিচ্ছিন্নভাবে কারও পক্ষে একা মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককে পারস্পরিক অংশীদারত্বের ভিত্তিতে এগিয়ে এসে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান ও দক্ষতার বিনিময় এবং প্রযুক্তি স্থানান্তর ঘটিয়ে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস ২০২০ পালন করছে জেনে বাণীতে প্রধানমন্ত্রী আনন্দ প্রকাশ করেন এবং এ উপলক্ষে বিএবি’র সকল অংশীজন এবং উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।

You might also like