মৃত্যুর পর মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি পেলেন গাফ্ফার চৌধুরী
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
লন্ডন: অমর একুশের গানের রচয়িতা, কিংবদন্তী সাংবাদিক ও কলামিষ্ট আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন সর্বজনবিদিত কলম সৈনিক হলেও জীবিতাবস্থায় মুক্তিযাদ্ধা হিসেবে আনুষ্ঠানিক রাষ্ট্রিয় স্বীকৃতি পান নি। মৃত্যুর পর অবশেষে গত ২৬মে, বৃহস্পতিবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয় গেজেট প্রকাশ করে তাঁকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়।
মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আনুষ্ঠানিক সরকারী স্বীকৃতি না থাকলে মরদেহে দেশে পৌঁছার পর সমাহিত করার আগে রাষ্ট্রিয় সম্মান, গার্ড অব অনার এগুলো অনেকটা বেমানান দেখাবে, প্রশ্নও উঠতে পারে, এই চিন্তা থেকে শেষ মূহুর্তে বাংলার মাটিতে শেষ শয্যা গ্রহনের আগে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আনুষ্ঠানিক রাষ্ট্রীয় এই স্বীকৃতি দেয়া হয় বাঙালির এই সুর্যসন্তানকে। একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র সত্যবাণীকে এমনটিই জানায়।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে সপরিবারে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে আগরতলা হয়ে কলকাতা পৌঁছান গাফ্ফার চৌধুরী। সেখানে মুজিবনগর সরকারের মুখপত্র ‘সাপ্তাহিক ‘জয়বাংলা’য় লেখালেখি করেন। এসময় তিনি কলকাতায় ‘দৈনিক আনন্দবাজার’ ও ‘যুগান্তর’ পত্রিকায় কলামিস্ট হিসেবে কাজ করেন। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ‘দৈনিক জনপদ’ বের করেন।
৭৫ এর ১৫ই আগষ্টে তিনি লন্ডনে ছিলেন। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আলজিয়ার্সে ৭২ জাতি জোট নিরপেক্ষ সম্মেলনে যান তিনি। দেশে ফেরার পর তার স্ত্রী গুরুতর রোগে আক্রান্ত হলে তাকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে কলকাতা নিয়ে যান। সেখানে সুস্থ না হওয়ায় তাকে নিয়ে ১৯৭৪ সালের অক্টোবর মাসে লন্ডনের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমান। এরপর তার প্রবাস জীবনের ইতিহাস শুরু হয়। ৭৪ সালে অক্টোবরে স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য লন্ডন আসার পর ৯২ সাল পর্যন্ত আর দেশে যাননি গাফ্ফার চৌধুরী। ৭৫ এর জুন মাসে শেষ দেশে গিয়েছিলেন, এরপর যান ১৯৯২ সালে। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের দাবিতে তৎকালীন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ নেতা গৌস খানের নেতৃত্বে ব্রিটেনে প্রথম ক্যাম্পেইন শুরু করেছিলেন তিনি।