মেয়রস্ কোভিড রিকভারি ফান্ড’ নামের ৩ মিলিয়ন পাউন্ডের তহবিলের কার্যক্রম চালু করলেন মেয়র বিগস
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
টাওয়ার হ্যামলেটসঃ অর্থনীতি,স্বাস্থ্য ও সামাজিক খাতকে কোভিড-১৯ মহামারীর প্রভাব থেকে বের করে আনতে ৩ মিলিয়ন পাউন্ডের একটি বিশেষ প্রকল্প চালু করেছে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল।মেয়র জন বিগস গত ৮ জুলাই এই মেয়রস্ কোভিড রিকভারি ফান্ড’ নামের বিশেষ এই তহবিলের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। এই তহবিলের লক্ষ্য হচ্ছে মহামারীর প্রভাবকে থেকে বেরিয়ে আসতে বারার বাসিন্দা, ব্যবসা বাণিজ্য এবং কমিউনিটি সংগঠনগুলোর কার্যক্রমকে সহায়তা প্রদান করা।
বারার যে ২৫টি প্রজেক্ট এই তহবিল থেকে অনুদান পাচ্ছে, তার অন্যতম একটি হচ্ছে ভলান্টিয়ার সেন্টার টাওয়ার হ্যামলেটস (ভিসিটিএইচ), যারা ৭৫ হাজার পাউন্ড নগদ অর্থ সহায়তা দেয়া হয়েছে।ভিসিটিএইচ এর রয়েছে ৩ শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী এবং মহামারী চলাকালে বারার অসহায় বাসিন্দাদেরকে সাহায্য করার পাশাপাশি বেথনাল গ্রীণের গ্র্যানবি হল কমিউনিটি সেন্টারে অবস্থিত কমিউনিটি ফুড হাবে প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবী প্রদান করেছে।এই হাব থেকে গোটা বারায় ৫০টিরও বেশি সংগঠনকে ফুড প্যাক প্রদান করে, যা থেকে প্রতি সপ্তাহে সরাসরি সুফল পেয়েছেন ৭ হাজারেরও বেশি বাসিন্দা। গত বছর মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত হোস্টেল, নারী রিফিউজি মহিলাদের আবাস, স্কুল সমূহ এবং কেয়ার হোমগুলোতে ৭০০ টন খাবার ও অন্যান্য গৃহস্থালি সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এই ফুড হাব এ প্রায় এক মাস স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করেছেন ১৭ বছর বয়সী ফ্রাঙ্ক স্যাপ। স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তিনি বলেন, স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করাটা অনেক সন্তোষজনক। এই কাজে যেমন নতুন অভিজ্ঞতা লাভ করা যায়, তেমনি অন্যদের সাহায্য করা এবং নতুন নতুন লোকজনের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তোলার সুযোগ মেলে। আপনার বয়স যা-ই হোক না কেন ভলান্টিয়ারিং করার জন্য আমি সকলকে আহ্বান জানাবো।তিনি বলেন, মেয়র ভলান্টিয়াটিয়াদের ওপর বিনিয়োগ করায় আমি সত্যিই সন্তুষ্ট কার আমরা কমিউনিটিকে সাহায্য করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছি।
গত ৮ মাস ধরে ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করছেন ৭০ বছরের জেফ ওয়াটারস। তিনি বলেন, ফুড হাব এর ঠিক উল্টো দিকেই আমি বাস করি এবং এখানে কী কাজ হয় সেটা জানতে আমি খুব উৎসুক থাকতাম। বিপুল সংখ্যক লোক কিভাবে অন্যদের সাহায্য করে যাচ্ছে, এটি সত্যিই চমৎকার একটি বিষয় এবং এখানে এখন একজন ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করতে পেরে আমি সত্যিই গর্বিত। বারাকে তার নিজের পায়ে দাড়াতে সাহায্য করতে মেয়রের কোভিড রিকভারি ফান্ডকে আমি স্বাগত জানাই।গত সপ্তাহে এই ফুড হাব পরিদর্শন করেন মেয়র জন বিগস। তিনি তিনি বলেন, মহামারীর সময় আমাদের সকল কমিউনিটি যেভাবে একত্রিত হয়েছে, তা ছিলো সত্যিকার অর্থেই অনুপ্রেরণামূলক। কাউন্সিল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব অনুযায়ী আমাদের অংশিদারদারদের সাথে মিলে আমরা মহামারীর কারণে আয় কমে যাওয়া, স্কুলে লেখাপড়া, শারিরীক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব এবং সামাজিক বিচ্ছিন্নতা ও পারিবারিক সহিংসতা ইত্যাদিতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের অব্যাহতভাবে সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছি।
মেয়র বলেন, ৩ মিলিয়ন পাউন্ডের কোভিড রিলিফ ফান্ডের মাধ্যমে আমরা যেসকল ক্ষেত্রে অব্যাহত সহযোগিতা দরকার, সেসব ক্ষেত্রে আরো ভালোভাবে মনোনিবেশ করতে পারবো বলে আমি গর্বিত । আমি আগামী সপ্তাহ ও মাসগুলোতে এ ধরনের আরো অসংখ্য প্রজেক্ট পরিদর্শন করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।ডেপুটি মেয়র এবং লিড মেম্বার ফর কমিউনিটি সেফটি, ফেইথ এন্ড ইক্যুয়ালিটিজ, কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন ধরনের কাজের সাথে জড়িত ২৫টি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পকে মেয়রের তিন মিলিয়ন পাউন্ডের রিকোভারি তহবিল সহায়তা দেয়ায় আমি খুবই আনন্দিত। এসব প্রজেক্ট বারার হাজার হাজার বাসিন্দা, ব্যবসা ও সংগঠনগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।তিনি বলেন, টাওয়ার হ্যামলেটসে সবচেয়ে প্রিয় যে বিষয়টি আমরা ধারণ করি তা হচ্ছে আমাদের বৈচিত্র্যময় কমিউনিটি। এই জন্যই বিশেষভাবে আমি আনন্দিত যে আমাদের নতুন এই তহবিলে আমাদের স্বেচ্ছাসেবী ও কমিউনিটি সেক্টরের জন্য অনুদান কর্মসূচি অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। এই সংগঠনগুলো গোটা মহামারী জুড়েই অক্লান্তভাবে পরিশ্রম করেছে।