মৈত্রী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা বাংলাদেশ-ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক  অটুট রাখতে আমরা প্রত্যয়ী :নিরাজ কুমার জয়সওয়াল

চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী

সিলেট থেকেঃ সিলেটে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার নিরাজ কুমার জয়সওয়াল বলেছেন, বাংলাদেশের সাথে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অটুট রাখতে ভারত সরকার সবধরনের সহযোগিতা করবে। গত কয়েকদিন পূর্বে আসামের শিলচরে ভারত-বাংলাদেশ ফেস্টিভেল-এর মাধ্যমে দু’দেশের রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড আরো ফুটে উঠেছে।১৩ ডিসেম্বর সোমবার সন্ধ্যায় সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে মৈত্রী দিবস উপলক্ষে একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি ও বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতি এবং বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেটের যৌথ আয়োজনে আালোচনা সভায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি জেলা সভাপতি ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল-এর সভাপতিত্বে তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কের ভিত্তি ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক বন্ধন। একই স্বার্থ ও মূল্যবোধ এবং পরস্পরের প্রতি আস্থা ও বোঝাপড়া। তবে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে এ দেশের মানুষের সঙ্গে মিত্রবাহিনী হিসেবে ভারতের অসংখ্য যোদ্ধার আত্মত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জনের মধ্যে এই ঐতিহাসিক বন্ধুত্বের মূল শেকড় নিহিত। আর সেই ধারাবাহিকতায় এখন দুই দেশের সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় রয়েছে। যা খুবই বিশেষ, বহুমুখী ও অনন্য। বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারতের অবদান চিরস্মরণীয়।

তিনি আরো বলেন, নতুন নতুন আশা, আকাঙ্খা ও স্বপ্নের মাধ্যমে দুই প্রতিবেশী বন্ধু দেশের মধ্যে সহযোগিতার সম্পর্ক আরও বিস্তৃত হচ্ছে। সামাজিক বন্ধুত্ব আরও শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিক কার্যক্রম বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং উন্নয়ন হচ্ছে। দুই দেশের উন্নতি পরস্পরের সঙ্গে জড়িত বলে আন্তর্জাতিক এজেন্ডাও প্রায় এক। এ কারণেই একই পথে একসঙ্গে কাজ করতে পারছে দুই দেশ। মৈত্রী দিবসে দু’দেশ অংশীদারত্ব ও সহযোগিতার সম্পর্কের সূচনা হয়। দু’দেশের সর্ববৃহৎ সহযোগিতার ইতিহাসকে গৌরবের সঙ্গে উপস্থাপন করে মৈত্রী দিবস। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে তামাবিল ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সমিতির পক্ষ থেকে ৫ জন মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। আগামীতে আরো মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা প্রদান করার আশ্বাস ব্যক্ত করেন।সভায় বিশেষ অতিথি’র বক্তব্য রাখেন সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মকসুদ ইবনে আজিজ লামা, সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেসা হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আকরাম আলী, সিলেট নগর আ’লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি অধ্যাপক সুজাত আলী রফিক, ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি সিলেট নগর সভাপতি এডভোকেট কিশোর কুমার কর।জেলা ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক অংশুমান দত্ত অঞ্জনের সঞ্চালনায় শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা নির্মূল কমিটি সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট জজ আদালতের এডিশনাল পিপি এডভোকেট শামসুল ইসলাম।অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কানাডা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াহিয়া আহমদ, এডভোকেট দিলোয়ার হোসেন দিলু, অধ্যক্ষ মিহির কান্তি দাস, অধ্যাপক প্রাণকান্ত দাস, জেলা নির্মূল কমিটির যুগ্ম-সম্পাদক মনোজ কপালী মিন্টু, মনোরঞ্জন তালুকদার, ওয়ালি মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজ উদ্দিন শিরুল, জান্নাত আরা খান পান্না, সুরঞ্জিত বর্মণ, অর্থ সম্পাদক তারা মিয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বিশ্বাস পারভেজ, খালেদ মিয়া, এম আসাদুজ্জামান, মির্জা রেদওয়ান বেগ, টিপু চৌধুরী, ইউসুফ সেলু, লাবলু, আবুল হোসেন, সুমন আহমদ, ফাহিম খান প্রমুখ।

You might also like