মোতাহার হোসেন মিলন: এক স্বপ্নবাজ বিপ্লবীর প্রতি শ্রদ্ধা
মাসুদুর রহমান মাসুদ
মোতাহার হোসেন মিলন বাংলাদেশ ছাত্র সমিতির সভাপতি ছিলেন। আজ তার মৃত্যু বার্ষিকী। তিনি বেঁচে থাকলে আজ তার বয়স হতো৬৩ বছর। তার রাজনৈতিক জীবনের বৈচিত্র আমার চোখে আজও সোনালী স্মৃতি। সংগঠন, জোটবদধ আন্দোলন, স্বৈরাচার বিরোধিতা, সাম্প্রদায়িকতা বিরোধীতা সব কিছু ছাপিয়ে আলোচনার টেবিলে তিনি অবতারণা করতেন তত্ত্বের। বিশেষ করে মার্ক্স এবং লেনিনের অমীয় বাণী গুলো।
পাঞ্জাবি পরা সাধারন একজন মোতাহার ভাই কে প্রথম আবিস্কার করলাম মিরপুর থেকে ঢাকার দিকে আসা বাসে। সম্ভবত ওটা ১৯৭৭সাল, চোখে চোখ পড়তেই মৃদু হেসে উনি আমায় জানালেন উনিও মিরপুর প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে আসছেন। গল্পের ছলে জিজ্ঞাসা নানা কথা। কিন্তু তখনও ভাবতে পারিনি আমরা দুইজনই একদিন বাংলাদেশের একটি প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্ব প্রদান করব। কথাচ্ছলে গন্তব্যের কথা উঠলো যে যার মত গন্তব্যে নেমে গেলাম। সেই যে স্মৃতিময় দিনের শুরু আজও আমাদের স্মৃতিতে তিনি ভাস্বর হয়ে আছেন। সেদিন তিনি একটি গন্তব্যের কথা বলে যেতে পারেননি। শেষ গন্তব্য কিন্তু চলমান পথের কথা যা তিনি প্রায়শই বলতেন চোখেমুখে যার ছিল এটির সমাজ বিপ্লবের স্বপ্ন।
জীবনের একটি সময়ে জীবিকার টানে রাশিয়ার রাজধানী মস্কো চলে আসি। সংসারের ঘানি টানার ব্যস্ত জীবন। সারাদিনের কর্ম ক্লান্তি শেষে বসেছিলাম। হঠাৎ ফোনের শব্দে আড়মোড়া ভেঙে উঠে ফোন ধরতেই আশ্চর্য হলাম। অপর পার থেকে হেসে হেসে মোতাহার ভাই বললেন মাসুদ আমি মস্কোতে। আমি আশ্চর্য হলাম। আপনি মস্কোতে অথচ জানিনা। এরই মাঝে তিনি বেশ কিছু সময় কাটিয়ে ফেলেছেন। সংকট টা যে এমন প্রকট ছিল তা তিনি বলেন নি। বললেন এক ঘণ্টার মধ্যেই আমি তোমার ওখানে আসছি। স্বাগত জানিয়ে বললাম আমি অপেক্ষায় থাকলাম। একসাথে ডিনার করবো। সাথে বলে দিলাম মস্কো বাবুস্কিনস্কায়া মেট্রো স্টেশনের পাশে ই মেনঝেনসকোভো উলিৎসার পাশেই বাসা এবং নাম্বার।এক ঘন্টা পর প্রবেশ গেটে পিন কোড পুশ করতেই নিচে নেমে এলাম। দেখি একি অবস্থা? বিধ্বস্ত মোতাহার ভাই। যাকে কখনো আমি এমন দেখিনি। তাকে দ্রুত স্নান সেরে নিতে বললাম। খাবার টেবিলে বসে গল্প করে যে অভিজ্ঞতা পেলাম। সত্যি তা ছিল দুঃখজনক। অর্থ কষ্ট রোগাক্রান্ত মোতাহার ভাই ফর্সা মানুষটি যেন লাল হয়ে গেছে। জানতে চাইলাম কি সহযোগিতা করতে পারি? উত্তর এ জানালেন দেশে ফিরে যেতে চাই। গ্লাসনস্ত আর পেরেস্ত্রৈকার পর পরিবর্তিত রাশিয়ায় তার যে চিকিৎসা হবে না সেটা তিনিও বুঝেছিলেন। তাই তার সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাতে সহযোগিতা দিয়ে তাকে দেশে পাঠালাম।
তার পরের কথাগুলো বাংলাদেশ ছাত্র সমিতির সাবেক সভাপতি প্রিয় ন্যাপ নেতাআমিনুল ইসলাম আজ এক বার্তার ভেতর দিয়ে বলে দিয়েছেন। যার অনেককিছুই আমার কাছে অজ্ঞেয় ছিল। আজ মোতাহার ভাইকে দারুণভাবে ফিল করছি।
পারিবারিক দায়িত্বের বোঝা বইতে গিয়ে ছাত্ররাজনীতি শেষে চাকরি নিয়েছিলেন। হয়তো ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে তিনি মস্কো এসেছিলেন। সেটা আর হয়ে উঠেনি। তিনি যখন দেশে চাকরি করছিলেন, আমি তখনও রাজনীতিতে সক্রিয় একজন মানুষ। ন্যাপ
এর প্রেস এনড পাবলিকেশন্স ডেস্ক দেখছিলাম।
বিশেষ করে আমাদের প্রিয় নেতা অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ এর প্রেস এন্ড পাবলিকেশন্স বিষয়ক সব দায়িত্ব পালন করছিলাম। প্রিয় নেতার সাথে পার্টি অফিস, মদনপুর সামাজিক বিজ্ঞান পরিষদ, এবং তার সফরসঙ্গী হয়ে দায়িত্ব পালন করছিলাম। জীবন ও জীবিকার তাগিদে আমিও দেশ ছেড়েছিলাম। মস্কোতে ছোট ব্যবসা শুরু করেছিলাম। আর সেই সময় মোতাহার ভাইয়ের অকস্মাৎ আগমন আমাকে বিস্মিত করেছিল।
পার্টি তে সক্রিয় দায়িত্ব পালন করার সময় মনে পড়ছিল সমস্ত অভিজ্ঞতার কথা। ঐক্যের নামে বিভ্রান্তি। পার্টির ভেতরে অন্তর্ঘাতমূলক তৎপরতা। পার্টি যাতে না দাঁড়াতে পারে যাকে বলে স্টাগ্নান্সি বা বন্ধ্যাত্ব তার সকল আয়োজন ষড়যন্ত্রকারীদের । নতুন প্রজন্মের কাছে যাওয়ার সমস্ত পথ রুদ্ধ করা হয়েছিল।
এসব কিছু আলোচনার মধ্য দিয়েই পরদিন মোতাহার ভাই কে বিদায় দিয়েছিলাম। তারপর তিনি প্রায়ই আমার বাসায় এসেছেন। একটু সহযোগিতা সাহচর্য্য আর সেবা পেতে। আমার সীমিত সাধ্যের মধ্যে চেষ্টা করেছি যতটা তাকে দিতে পারি।
১৯৮২ তে মস্কো আসা হয়েছিল প্রথম লিডারশিপ ট্রেনিং এ। রাজনীতির দর্শন ,অর্থনীতি, সমকালীন রাষ্ট্রব্যবস্থা এ নিয়ে ব্যাপক বিস্তর জানার সুযোগ হয়েছিল। যেখানে প্রচলিত পড়াশোনার ফাঁকে প্রায়োগিক জীবনে সমাজতান্ত্রিক বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তোলার সুফল গুলিও স্বচক্ষে দেখার সুযোগ মিলেছিল। ১৯৮৩ সালে দেশে ফিরে এলে রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ওঠি। লব্ধ জ্ঞান কাজে লাগাতে সংগঠন গড়ে তোলার প্রত্যয়ে সমস্ত দেশ চষে বেড়ানো শুরু হলো। অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ অনুরোধ করলেন যে অনুরোধ আমি আদেশ হিসেবে ধরে নিয়েলাম, একটি সফল সম্মেলনের ভেতর দিয়ে ছাত্র সমিতির দায়িত্বভার গ্রহণ করতে। ১৯৮৪ সালে একটি প্রতিনিধিত্বশীল সফল সম্মেলনের ভেতর দিয়ে মোতাহার হোসেন মিলন বাংলাদেশ ছাত্র সমিতির সভাপতি আর আমি মাসুদুর রহমান ছাত্র সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করি। স্বৈরাচারবিরোধী উত্তাল আন্দোলনে দেশ তখন টালমাটাল। কতগুলো রজনী আমাদের গা ঢাকা দিতে হয়েছে সামরিক গোয়েন্দা দের হাত থেকে জীবন বাঁচাতে।
এর মাঝেই আমরা একটি বৃহত্তর ছাত্র সমাবেশ করার ইচ্ছা পোষণ করি এবং অধ্যাপক মুজাফ্ফর আহমেদ কে তা অবগত করি। প্রিয় নেতা আমাদের অনুরোধ রেখেছিলেন। সমস্ত দেশব্যাপী ছাত্রদের সংগঠিত করতে আমাদের কর্মকাণ্ডের পাশে মাথার উপর হাত রেখেছিলেন সুবিশাল অশ্বত্থের ছায়ার মতো । সেই উত্তাল ছাত্র সমাবেশ থেকেই ন্যাপের নতুন জাগরণ শুরু হয়েছিল।
কিন্তু দুঃখজনকভাবে কায়েমি স্বার্থবাদীরা দলের অভ্যন্তরে এবং দলের বাইরে থেকে ঐক্যের নামে যে খেলায় মেতেছিল ন্যাপ তার শিকারে পরিণত হয়েছিল। ১৯৮৪ সালের ৩১ শে অক্টোবর এই মহা সমাবেশের উদ্বোধন হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলায়। এই সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন অধ্যাপক মুজাফ্ফর আহমেদ। শান্তির প্রতীক পায়রা অবমুক্তকরণ ও পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে আমাদের সমাবেশের সূচনা হয়েছিল।সভাপতিত্ব করেছিলেন মোতাহার হোসেন মিলন এবং সঞ্চালন করেছিলাম আমি। বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি সুবিশাল বলতে গেলে সর্বোচ্চ জমায়েত, প্রায় ৩৫০০০ ছাত্রের সমাবেশ ঘটেছিল এই Ralley তে। সমস্ত ঢাকা শহর অর্ধদিনের জন্য অচল হয়ে গিয়েছিল। বর্ণাঢ্য র্যালি তে রংবেরঙের ফেস্টুন ব্যানার এ ছেয়ে যায়।এই সমাবেশটি বায়তুল মোকাররম চত্বরে এসে ছাত্র গণজমায়েতে রূপ পরিগ্রহ করে। ছাত্র সমাবেশে হাজির হতে থাকে আদমজী থেকে শ্রমিক, কৃষক বিভিন্ন পেশার মানুষ। এই সমাবেশে অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ ঐতিহাসিক ঘোষণার ভেতর দিয়ে দেশ ও জাতির সামনে রাজনীতির লক্ষ্য সুস্পষ্ট করেন। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে প্রকৃত গণতন্ত্রের একটি শোষণহীন সমাজতান্ত্রিক সমাজ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। দুঃখজনকভাবে এই একই দিনে আমাদের প্রতিবেশী বন্ধুপ্রতিম দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী আততায়ীর হাতে নির্মম ভাবে নিহত হন। সংবাদপত্রগুলো আমাদের সমস্ত খবর ব্ল্যাক আউট করে ইন্দিরা হত্যাকাণ্ডকেই প্রধান ব্যানার সংবাদ করে তোলেন। দেশের ধনিক গোষ্ঠী ও শোষকদের নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমগুলো তার ভূমিকার ভেতর দিয়ে আবারো প্রমাণ করলো শ্রেণীস্বার্থ সবার উপরে। জনগণের স্বার্থে যারা কথা বলে ,তাবেদার সংবাদকর্মীদের কলম সেখানে চলে না। এই পুতুল সাংবাদিকতা অন্ধত্বের চোরা গলিতে আটকে গেছে। কোথাও কোথাও তারা আবার দলকানা।
আজ মোতাহার ভাই এর মৃত্যুবার্ষিকী। লেখাটা প্রাসঙ্গিক হওয়া প্রয়োজন। তবু অনেক কথা লিখতে হল। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের এক সমাবেশে ছাত্ররাজনীতির হঠকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই কায়েমী স্বার্থবাদী গোষ্ঠী তার ওপর চড়াও হতে চেষ্টা করেছিল। রাজনীতিতে সঠিক এবং সত্য কথা বলার সৎ সাহস তার ছিল। এই নির্ভীকতার জন্য তাকে সালাম জানাতেই হবে। সেই সঠিক রাজনীতির কারণেই ১৯৯০ সালে কাঙ্খিত গণতন্ত্র মুক্তি পেল ,স্বৈরশাসনের অবসান হলো।
বাংলাদেশ ছাত্র সমিতি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়ার বেলায় সভাপতির সাথে পরামর্শ করার যে রেওয়াজ ছিল তা প্রথাগতভাবে করতে গিয়ে আমার ভেতরে যে বোধ জন্ম নিয়েছিল, তা ছিল আমাদের পারস্পরিক বোঝাপরা ও বিশ্বাস এর এক অপূর্ব সমন্বয়।
ভিশন আস্থাশীল মানুষ ছিলেন তিনি। স্বপ্ন দেখতেন। স্বপ্ন দেখাতে চাইতেন। পারিবারিক জীবনের অনেক কষ্ট কখনো শেয়ার করতেন কখনো অন্তর্মুখী চরিত্রের মতো চেপে যেতেন। আমি বুঝে নিতাম। অনেক জায়গায় তার শূন্যতা অনুধাবন করতাম। কিন্তু তার শূন্যতার দায় গুলো এড়াতে অনেক বিষয় চালিয়ে নিতাম ।
ছাত্র সমিতি গড়ে তুলতে নিরলস শ্রম করেছেন তিনি। কাঁধে কাঁধ রেখে। যুগল জীবনের স্বপ্ন হয়তো দেখতেন তিনি,
জীবন সংগ্রামের কঠিন বাস্তবতায় হয়তো সেটি পূরণ করতে পারেননি সবশেষে ঘাতক মরণব্যাধি তার স্বপ্নভঙ্গ করেছে। তিনি পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেছেন। রেখে গেছেন অসংখ্য সহযোদ্ধা আর আদর্শের কর্মীদের।
বিশ্বজুড়ে করোনার করাল থাবায় লন্ডভন্ড মানব সভ্যতা। দেশ-জাতি এমনকি পার্টি একটি কঠিন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। আমাদের প্রিয় নেতা অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ এর মৃত্যুর পর এই কঠিন সংকটে পার্টি’র হাল ধরেছিলেন অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদের সহধর্মিণী আমাদের প্রিয় নেত্রী মিসেস আমিনা আহমেদ। প্রত্যাশিত গতিতে পার্টির কর্মকাণ্ড পরিচালিত না হলেও পার্টি তার কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছিল একটি স্বাভাবিক গতিতেই। পার্টির নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নজরুল মজিদ বেলাল এর মৃত্যুর পর পার্টি আরেকদফা সংকটের মুখে পরে। প্রয়োজন হয়ে পড়ে সারা দেশব্যাপী নেতাকর্মীদের ডেকে নেতৃত্তের জায়গাগুলো পুনর্গঠন করা। তা আজ ও হয়ে উঠেনি। বর্তমান বাস্তবতা আরো কঠিনতর সংকটের মুখে আমাদের ঠেলে দিয়েছে। আর তাই প্রয়োজন হয়ে পড়েছে অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ এর আদর্শের অনুগামী সঠিক নেতৃত্ব। যারা তাঁর আদর্শ বাস্তবায়ন করবে। এক্ষেত্রে তিনি আশাবাদী ছিলেন সবসময় তরুণ নেতৃত্বের ক্ষেত্রে। সেটি হয়ত আসন্ন। আমরা আশাবাদী হতে চাই। পার্টি তার অচলায়তন কাটিয়ে ক্ষমতাসীনদের দেউলিয়াপনার বিপরীতে জনগণের জন্য একটি আস্থার জায়গা তৈরি করবে। জনগণের বাঁচা-মরার সংগ্রামে পার্টি তার সঠিক ভূমিকা পালন করবে। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী এই পার্টি এবং তার দায়িত্ব জনগণের কাছে প্রতিশ্রুত একটি শোষণ ও বঞ্চনা মুক্ত সমাজ কাঠামো গড়ে তোলা। যা বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক দল দিয়ে সম্ভব নয়। অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ এর রাজনৈতিক দর্শন এই কঠিন ক্রান্তিকালে আমাদের পার্টি ও দেশের জন্য অত্যন্ত জরুরী ও দায়বদ্ধতার জন্ম দিয়েছে। মোতাহার হোসেন মিলনের মৃত্যুবার্ষিকীতে আমরা তার অভাব অনুভব করছি কিন্তু যে অজস্র রাজনৈতিক কর্মী অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমেদ তৈরি করেছেন তারা আজও বেঁচে আছেন। ত্যাগী সৎ ও নিষ্ঠাবান নেতাকর্মীদের সাথে নতুন প্রজন্মের সংযোগ জরুরী হয়ে উঠেছে। অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ তাই আশান্বিত হয়ে সত্য কথাটি বলেছিলেন, এই নতুন প্রজন্মের হাতে রাজনীতি পরিশুদ্ধ হবে। অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ এর অনুসারী হিসেবে সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন আমরাও দেখতে চাই।
পৃথিবীতে রাজনৈতিক পরিবর্তনের নতুন ঘটনাপ্রবাহ সেই বার্তাই দিয়ে যাচ্ছে। মোতাহার ভাই আপনি বেঁচে থাকুন আমাদের মত শত শত সহযোগীর অন্তরে আপনার কাঙ্খিত বিপ্লবের চেতনায়। যা আমাদের প্রিয় নেতা আমাদের শিখিয়েছেন।
২৪ এপ্রিল’২০২১।
(মাসুদুর রহমান মাসুদ: সাবেক ছাত্রনেতা। বাংলাদেশ ছাত্র সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক)