যখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে হাত দিয়েছি তখন কাউকে ছাড়ব না-শেখ হাসিনা

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

ঢাকা: দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্সের কথা আবারও তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে তিনি হাত দিয়েছেন, কাউকে ছাড়বেন না।
১৪ জুলাই রোববার বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। চীন সফর সম্পর্কে জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর হয়েছি বলেই দুর্নীতিবাজরা ধরা পড়ছে। আমি যখন হাত দিয়েছি কাউকে ছাড়ব না।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রথমে আমরা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি। এখন জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে, তাদের থামিয়েছি। এখন আমরা দুর্নীতি নিয়ে কাজ করছি। দুর্নীতিবাজদের ধরছি। এটা চলতে থাকবে।
আ’লীগ সভাপতি বলেন, অনেকে আমাকে বলে এটা করলে সরকারের ইমেজ নষ্ট হবে। আমি সেটা মনে করি না। যারা অপরাধ করছে, দুর্নীতিতে জড়াচ্ছে, তাদের ধরতে হবে। এক্ষেত্রে ছাড় দেয়া হবে না।
সম্প্রতি আলোচিত ইস্যু প্রশ্নফাঁস প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা জিয়ার আমলে শুরু হয়েছে, আর খালেদা জিয়া এসে তো আরও একধাপ বেশি করেছে। তখন তো তালিকা আসত। আর যা তালিকা তাই হতো। অন্য কোনো কিছু করার সুযোগ ছিল না। করলে তারা বেঁচে থাকতে পারবে না। এই তো ছিল বাংলাদেশের অবস্থা। সেটা ভুলে গেলে চলবে?
২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত অনিয়মের কথা তুলে ধরে সরকার প্রধান বলেন, তারা যে অনিয়মগুলো করে রেখে গিয়েছিল, সেগুলো আবার সুস্থতায় ফিরিয়ে নিয়ে এসেছিলাম। ২০১৮ সালের পর থেকে আবার এরা কিছুটা হাতে পেয়ে যায়। বহুদিন তাদের পেছনে লেগে থেকে থেকে এখন ধরতে পেরেছি। যখন ধরা পড়েছে, এটার তদন্ত হবে, বিচার হবে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী জানান, ঘুষ যে দেবে, আর ঘুষ যে নেবে-উভয়েই অপরাধী। তিনি বলেন, যারা প্রশ্নপত্র ফাঁস করে আর যারা কেনে, তারা দু’জনেই অপরাধী। কিন্তু এটা বের করবে কে? সাংবাদিকরা চেষ্টা করে বের করে দিক, ব্যবস্থা নেয়া যাবে।
চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা আন্দোলন করছে, তারা আইন মানে না৷ সংবিধান চেনে না৷ সরকার কীভাবে চলে, তা নিয়ে তাদের কোনো ধারণা নেই৷ পড়ালেখা করে জিপিএ পায়, কিন্তু এসব নিয়ে কোনো ধারণা রাখে না তারা৷ আদালত তো রায় দিয়েছে, এখানে নির্বাহী বিভাগের কিছু করার নেই৷ এটি আন্দোলনকারীদের বুঝতে হবে৷ কোটা আন্দোলন এরপরেও চালিয়ে গেলে তারা চালাবে৷ ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি করলে আইন তার নিজস্ব গতিতে বিষয়টিকে দেখবে৷

You might also like