যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের বিজয় দিবসের আলোচনা: মুক্তিযুদ্ধের শানিত চেতনায় রুখতে হবে সকল ষড়যন্ত্র

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
সত্যবাণী 

লন্ডন: শোষন, নির্যাতন, ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে করেই বঙ্গবন্ধু সেই তরুণ বয়স থেকে বাঙালি জাতিকে প্রস্তুত করেছিলেন স্বাধীনতার জন্য। তাঁর রেখে যাওয়া দল আওয়ামী লীগ তাঁর কাছ থেকেই শিক্ষা পেয়েছে ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে কিভাবে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হয়। সুতরাং ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত করে দেশ ধ্বংসের পরিকল্পনা করে লাভ নেই। মুক্তিযুদ্ধের শানিত চেতনায় সকল ষড়যন্ত্র রুখেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জনগনকে সাথে নিয়ে আওয়ামী লীগ দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাবে।

শুক্রবার যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের বিজয় দিবসের আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে ব্রিটেনে মুক্তিযুদ্ধের প্রবীন সংগঠক, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি, বর্ষিয়ান নেতা সুলতান শরীফ উপরোক্ত মন্তব্য করেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নতুন করে শান দিয়ে ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় রাজপথে সক্রিয় থাকতে দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ৭৫ এর ১৫ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধুর পুরো পরিবার নিহত হলেও আজকের বিশ্বের বিস্ময় বাংলাদেশ সৃষ্টির জন্যই হয়তো সৃষ্টিকর্তা তাঁর দুই কন্যাকে জীবিত রেখেছিলেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ এমন পর্যায়ে পৌছেছে যে, বিশ্বের পরাশক্তিগুলোও এখন বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া এই দেশটিকে যার যার বলয়ে টানতে চায়। 

সংগঠনের যুক্তরাজ্য কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নঈমুদ্দিন রিয়াজের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনায় অতিথি’র বক্তব্য রাখেন, সত্যবাণী সম্পাদক, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির যুক্তরাজ্য সভাপতি সাংবাদিক সৈয়দ আনাস পাশা, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক মারুফ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ চৌধুরী, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য আনসারুল হক, যুক্তরাজ্য যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক সেলিম খান, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জামাল খান ও যুক্তরাজ্য ছাত্রলীগ সহসভাপতি সরোয়ার কবির ও জাকির আহমেদ প্রমূখ।

সাংবাদিক সৈয়দ আনাস পাশা বলেন, যে দেশ থেকে বেড়িয়ে এসে নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু, সেই রাষ্ট্র পাকিস্তানের জনগন যখন দাবি জানায় আমাদের বাংলাদেশ বানিয়ে দাও, তখন কিন্তু আমাদের আধুনিক বর্তমান প্রজন্ম রিসার্চ শুরু করে দেয়, জানতে চায় কি এমন যাদু আছে বাঙালির রাষ্ট্র চেতনায়। সুতরাং ভুল ইতিহাস বলে আজকের যুগে আর কিন্তু পার পাওয়া যাবে না, এটি বুঝতে হবে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তিকে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবার, জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ৩০ লক্ষ মানুষের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

You might also like