যুক্তরাষ্ট্রের আইপিএস নিয়ে আপত্তি নেই, তবে টাকা খরচ করতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

ঢাকাঃ পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি (আইপিএস) নিয়ে সরকারের কোনও আপত্তি নেই, তবে এজন্য বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ করতে হবে।সোমবার (১২ অক্টোবর) নিজ দফতরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘তারা ইন্দো-প্যাসিফিক ইস্যু তুলবে। আমাদের কোনও আপত্তি নেই। তবে আমরা চাই এর কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য তাদেরকে কিছু অবকাঠামো উন্নয়নে এগিয়ে আসতে হবে। তাদেরকে টাকা খরচ করতে হবে, শুধু মুখে বললেই হবে না। তাদের বিনিয়োগ করতে হবে। আমাদের অবকাঠামোতে তাদের কোনও অবদান নেই, কিন্তু তারা চাইলেই করতে পারে।’

সামরিক সহযোগিতার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ডিফেন্সে যেতে চায়, ইক্যুইপমেন্ট বিক্রি করতে চায়, কিন্তু আমরা মারামারিতে নাই। সুতরাং ওই বিষয়গুলোতে আমাদের অনীহা আছে।যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি সেক্রেটারি অব স্টেট স্টিফেন ই. বিগান আসন্ন সফর নিয়ে তিনি বলেন, কোভিড-১৯ সহযোগিতা, রোহিঙ্গাসহ অন্যান্য ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে চায় ঢাকা। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের জায়গা হচ্ছে ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল এবং এ বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান।

উল্লেখ্য, বিগান ১৪ অক্টোবর ঢাকায় আসবেন এবং ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশ সফরকালে তিনি বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং আলোচনার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের অংশীদারিত্বের বিষয়টি পুনঃনিশ্চিত করবেন।মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ইস্যু তুলবো কোভিডের কারণে আমাদের তৈরি পোশাক শিল্পের ক্ষতি হয়েছে, সেটিতে তোমরা সাহায্য করো। তোমরা চাচ্ছো আমাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব বৃদ্ধি করতে এবং তোমরা এখানে আমাদের কেন সাহায্য করছো না। দুই বা তিন বছরের জন্য বাংলাদেশের পণ্যের ওপর শুল্ক স্থগিতে ঘোষণা দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।’

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বাংলাদেশের পক্ষে বড় ইস্যু থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা শুধুমাত্র মানবিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করতে চাই না। এটি একটি অংশ কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমাদের কাছে অগ্রাধিকার হচ্ছে তাদেরকে অবশ্যই ফেরত যেতে হবে। এটি আমরা আবার তুলবো। এর জন্য কী করতে হবে সেটি তারা ঠিক করুক। এটি আমাদের একার দায়িত্ব নয়। এটা বৈশ্বিক দায়িত্ব।যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা জটিলতার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে আজ কিছু ছাত্র-ছাত্রী এসেছিলো যারা আই-২০ ফর্ম পেয়েছে, কিন্তু ভিসা পাচ্ছেন না। কিন্তু প্রতিবেশী ভারত বা পাকিস্তানিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে। তারা এটি আটকে রেখেছে এবং স্বাভাবিকভাবে এটি বৈষম্যমূলক।কোভিড-১৯-এ আমরা ভালো আছি, কিন্তু আমাদের ছেলে-মেয়েগুলোকে ভিসা দিচ্ছে না এবং এটি ভালো না বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ সফরে ডেপুটি সেক্রেটারি বিগান সবার সমৃদ্ধির জন্য একটি স্বাধীন, অবাধ, অন্তর্ভুক্তিমূলক, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল গড়ে তোলার পাশাপাশি কোভিড-১৯ মোকাবিলা ও অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব ও যৌথ সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করবেন।

You might also like