যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডোয় মৃতের সংখ্যা ৮০ ছাড়িয়েছে

আন্তজার্তিক ডেস্ক
সত্যবাণী

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রঃ টর্নেডোর আঘাতে রাতারাতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ছয়টি অঙ্গরাজ্য।শনিবার ৮০ জনের বেশী লোক মারা গেছে এবং বহু লোক নিখোঁজ রয়েছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, সম্ভবত আমেরিকার ইতিহাসে এটি “অন্যতম বৃহত্তম” টর্নেডোর বিপর্যয়।টেলিভিশনে দেয়া বক্তব্যে বাইডেন বলেন, “এটি একটি দু:খজনক ঘটনা।” কত মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং পুরো কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আমরা এখনো তা জানিনা।
শনিবার শীতের রাতে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যাঞ্চল জুড়ে বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ধ্বংসস্তুপ থেকে জীবিত লোকদের উদ্ধারে কর্মকর্তারা মরিয়া হয়ে অভিযান পরিচালনা করছেন।কেবল কেন্টাকিতেই ৭০ জনের বেশী লোকের মৃত্যু হয়েছে। এদের বেশীরভাগ মোমবাতি কারখানার শ্রমিক। ইলিনয়ের আমাজানের (ইলেক্ট্রনিক কমার্স কোম্পানি) একটি গুদামে অন্তত ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে, তারা বড় দিনের আগে গ্রাহকদের অর্ডার প্রসেসিংয়ে রাতের শিফটে কাজ করছিলেন।

কেন্টাকির গভর্নর এন্ডি বেসহেয়ার বলেছেন, কেন্টাকির ইতিহাসে এটি সবচেয়ে প্রাণঘাতি ভয়ংকর টর্নেডো। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ কওে বলেন “আমাদের হয়তো ১০০ বেশী লোককে হারাতে হতে পারে।অঙ্গরাজ্যে জরুরি অবস্থা জারি করে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমার জীবনে এমন বিপর্যয় দেখিনি।কেন্টাকির পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর মেফিল্ডের মেয়র ক্যাথি ও’ ন্যান সিএনএনকে বলেন, কেন্টাকি শহর “দেশলাই কাঠিতে” পরিণত হয়েছিল। ১০ হাজার লোকের এই শহরটিকে টর্নেডোর গ্রান্ড জিরো হিসাবে বর্ণনা করেন।গভর্নর বেসহিয়ার বলেন, কেন্টাকিতে মেফিল্ড শহরের মধ্য দিয়ে অঘাত হানা টর্নেডোটি ২০০ মাইল (৩২০ কিলোমিটার) এলাকা জুড়ে তান্ডব চালিয়েছে, সামগ্রিকভাবে এই বিধ্বস্ত এলাকা ২২৭ মাইল।এরআগে মার্কিন টর্নেডোর ইতিহাসে সবচেয়ে বেশী এলাকা জুড়ে আঘাত হানে ১৯২৫ সালে মিসৌরিতে, এর এলাকা ছিল ২১৯ মাইল দীর্ঘ । এতে ৬৯৫ জনের মৃত্যু হয়।

You might also like