যুব ফোরাম’এর আড়ালে বড়লেখায় জামায়াত-শিবির সক্রিয়
চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী
সিলেট থেকেঃ বড়লেখায় যুব ফোরামের ব্যানারে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ঈদ উৎসবের নামে জামায়াতে ইসলামী প্রকাশ্যে দলীয় সভা করছে। বড়লেখা থেকে সংবাদদাতা জানান, ৩০ জুন শুক্রবার পৌর শহরের আব্দুর রহমান কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত সভায় জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা থেকে শুরু করে জামায়াত-শিবিরের জেলা, জেলার প্রত্যেক উপজেলা এবং আওতাধীন প্রতিটি ইউনিটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। প্রায় ঘন্টাখানেক সভার কার্যক্রম চলার পর সমাপ্তি টানা হয়। তবে এর কিছুই জানেন না বড়লেখা থানার ওসি মো. ইয়ারদৌস হাসান। এদিকে, দীর্ঘদিন পর বড় সভা করতে পেরে স্বস্তিতে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। আর এই বিষয়টা কিছুটা হলেও অস্বস্তি আর বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছে খোদ আ’লীগের তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের।যুব ফোরাম উপজেলা তত্বাবধায়ক আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ সুমনের পরিচালনায় ও প্রধান পৃষ্ঠপোষক জামায়াতে ইসলামীর উপজেলা আমির এমাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ঈদ উৎসবে প্রধান অতিথি’র বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।
জামায়াতের এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ গভীর সংকটে নিমজ্জিত। দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই, নেই আইনের শাসন। সর্বত্র দূর্নীতি আর লুটপাটের রাজত্ব। স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পার হলেও এখন পর্যন্ত একটি জাতীয় ঐক্য গঠন করা সম্ভব হয়নি। বর্তমান সরকারের অনিয়ম ও সীমাহীন দূর্নীতির ফলে আমেরিকা যে স্যাংশন দিয়েছে তাতে শুধু সরকারের নয় বরং দেশ ও দেশের জনগণই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এজন্য আ’লীগ সরকারকে অবশ্যই জনতার কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে জবাবদিহি করতে হবে। তিনি আরও বলেন, জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ কারাগারে আটক নেতৃবৃন্দকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। কেয়ারটেকার সরকার ছাড়া বাংলাদেশে কখনোই অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়নি। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার লক্ষ্যে তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। দেশের গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।বিশেষ অতিথি’র বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর মৌলভীবাজার জেলা আমীর ইঞ্জিনিয়ার এম সাহেদ আলী, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কলেজ কার্যক্রম সম্পাদক আরিফুর রহমান, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা ইসলাম উদ্দিন, জুড়ী উপজেলা আমীর হাফেজ নাজমুল ইসলাম, বড়লেখা উপজেলা নায়েবে আমীর ফয়ছল আহমদ, জুড়ী উপজেলা নায়েবে আমীর আব্দুল হাই হেলাল ও সেক্রেটারি আজিম উদ্দিন ও কর্মপরিষদ সদস্য হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।এদিকে, বড়লেখা থানার ওসি মো. ইয়ারদৌস হাসান বলেন, ‘জামায়াতের ব্যানারে কোনো প্রোগ্রাম হয়নি। এখানে জামায়াতের কেউ ছিল-কিনা খোঁজ-খবর নিচ্ছি।’