যেসব শীর্ষ শিল্পপতি ব্যবসায়ী করোনায় আক্রান্ত

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

ঢাকাঃ করোনাভাইরাস মহামারিতে বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব।এর মধ্যে কয়েকটি দেশে এর প্রকোপ ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে।দেশেও করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দিনকে দিন বেড়েই চলছে।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সর্বশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে,দেশে নতুন করে ১১৬৬ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে।এ নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৬ হাজার ৭৫১ জনে।এছাড়া এ সময়ে মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের।এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫২২ জনে।এদিকে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের অনেকেই প্রাণঘাতী এই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।এমনকি এরইমধ্যে মারা গেছেন কয়েকজন। বৈশ্বিক মহামারীর মধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন কেউ কেউ। এখন দেশের হাসপাতালেই চিকিৎসা নিচ্ছেন গুরুতর অসুস্থ শিল্পপতিরা।

দেশের যেসব শীর্ষ শিল্পপতি ব্যবসায়ীরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাসাতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন এপেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী।মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক এবং গ্রে অ্যাডভারটাইজিংয়ের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক এই উপদেষ্টা।তবে ছোঁয়াচে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মারা গেছেন তার স্ত্রী সানবিমস স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ নিলুফার মঞ্জুর।তিনি সোস্যাল মার্কেটিং কোম্পানি-এসএমসির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন।এস আলম গ্রুপের বার্ষিক টার্নওভার ১৪ হাজার কোটি টাকা।আর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ২০ হাজার কোটি টাকা।দেশের অন্যতম শীর্ষ এই শিল্প পরিবারে করোনার কালো ছায়া পড়েছে।একে একে এস আলম গ্রুপের প্রধান সাইফুল আলম মাসুদের মা,পাঁচ ভাইসহ আরও কয়েকজন কোভিডে আক্রান্ত।

এর মধ্যে মারা গেছেন মোরশেদুল আলম- তিনি একাধারে এস আলম গ্রুপ,এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের পরিচালক এবং এস আলম সুপার এডিবল অয়েল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চেমন ইস্পাত লিমিটেডের চেয়ারম্যান।দেশের আরেকটি বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান এনভয় গ্রুপ, শীর্ষস্থানীয় আবাসন কোম্পানি শেলটেকের চেয়ারম্যান কুতুব উদ্দিনও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। বর্তমানে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন এই শিল্পপতি। তৈরি পোশাক, বস্ত্র, আবাসন, ফ্রেইট ফরোয়ার্ডিং, হসপিটালিটি, ব্যাংকিং, পুঁজিবাজার, সিরামিকসহ বিভিন্নখাতে বিনিয়োগ রয়েছে বিজিএমইএর এই সাবেক সভাপতির।করোনায় আক্রান্ত বিকন ফার্মার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের সংসদ সদস্য এবাদুল করিম। বাসাতে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি।

অন্যদিকে করোনায় মারা গেছেন বগুড়ার সাবেক সংসদ সদস্য কামরুন্নাহার পুতুল। একইসঙ্গে তার পরিবারের চার সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন। নওগাঁ-দুই আসনের সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকার আক্রান্ত হলেও বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন।

প্রাণঘাতী কারোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। গত সোমবার রাতে বাংলাদেশ জার্নালকে তিনি নিজেই এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। যুক্তরাজ্যের রয়্যাল কলেজ অব সার্জনস-এ এফআরসিএস পড়াকালীন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী চূড়ান্ত পর্ব শেষ না-করে লন্ডন থেকে ভারতে ফিরে এসে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে তিনি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে তিনি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি।সিটি ইউনিভার্সিটি, মকবুল আহমেদ ইউনিভার্সিটি কলেজ, এম এইচ শমরিতা মেডিকল কলেজ হাসপাতাল, সন্ধানী লাইফ, পূরবী জেনারেল ইনসিওরেন্স, মধুমিতা ব্যাংক, মোনা জুয়লার্সসহ বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক এমপি হাজী মো. মকবুল হোসেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।কোভিডে আক্রান্ত হয়ে প্লাজমা থেরাপি নিয়েছেন হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ। এখন বাসাতেই অবস্থান করছেন পাট, বস্ত্র, চা, তৈরি পোশাক শিল্প, গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ থাকা এই শিল্পপতি।

You might also like