রনির হাফ-সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২০৭ রান
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
চট্টগ্রাম: ওপেনার রনি তালুকদারের হাফ-সেঞ্চুরিতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন টি-টোয়েন্টি সিরিজে বৃস্টির আগে প্রথম ম্যাচে ১৯ দশমিক ২ ওভারে ৫ উইকেটে ২০৭ রান করেছে বাংলাদেশ। বৃষ্টির কারনে বাংলাদেশের ইনিংসের শেষ ৪ বল খেলা হয়নি। রনি ৩৮ বলে ৬৭ রান করেন। আরেক ওপেনার লিটন দাস ২৩ বলে করেন ৪৭ রান।চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে স্বাগতিক বাংলাদেশ। দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার লিটন ও রনি।পাওয়ার প্লেতে দলকে ৬ ওভারে ৮১ রান এনে দেন তারা। নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের এটিই সর্বোচ্চ রান। আগেরটি ছিলো ৭৬ রান। ২০১৩ সালে নেপিয়ারে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৬ ওভারে ৪ উইকেটে ৭৬ রান করেছিলো বাংলাদেশ।পাওয়ার প্লেতে লিটন ১৯ বলে ৪০ ও রনি ১৭ বলে ৩৮ রান তুলেন। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে লিটনকে শিকার করে বাংলাদেশের বিধ্বংসী উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গেন পেসার ক্রেইগ ইয়ং। মিড অফের উপর দিয়ে মারতে গিয়ে আয়ারল্যান্ডের অধিনায়ক পল স্টার্লিংকে ক্যাচ দেন লিটন। ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ২৩ বলে সাজানো তার ৪৭ রানের ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে।
দলীয় ৯১ রানে লিটনের বিদায়ের পর নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন রনি। নবম ওভারের শেষ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। ২৪ বল খেলে ৬টি চার ও ২টি ছয়ে অর্ধশতক করেন রনি। ১১তম ওভারে শান্তকে ১৪ রানে থামিয়ে দেন হ্যারি টেক্টর।দলীয় রান দেড়শ পার করে আউট হন রনি। ১৪তম ওভারের শেষ বলে মিডিয়াম পেসার গ্রাহাম হুমের বলে বোল্ড হওয়ার আগেম ৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৩৮ বলে ৬৭ রানের দারুন ইনিংস খেলেন তিনি।রনির বিদায়ে উইকেটে এসেই দ্রুত রান তুলেন শামিম হোসেন। ২০ বলে ২টি চার ও ১টি ছয়ে ৩০ রান যোগ করে আউট হন তিনি।এরপর পঞ্চম উইকেটে অধিনায়কের সাকিবের সাথে ১৭ বলে ২৯ রান যোগ করেন তাওহিদ হৃদয়। ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে ছক্কা দিয়ে বাংলাদেশের রান ২শ স্পর্শ করেন হৃদয়। নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে চতুর্থবারের মত ২শ রানের কোটা স্পর্শ করলো বাংলাদেশ। ৮ বলে ১৩ রান করে ইয়ংয়ের দ্বিতীয় শিকার হন হৃদয়।শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলের পর বৃষ্টিতে বন্ধ হয়ে যায় খেলা। বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় ২০ মিনিট পর ১৯ দশমিক ২ ওভারে ৫ উইকেটে ২০৭ রানেই বাংলাদেশ ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষনা করেন ম্যাচ কর্মকর্তারা। টি-টোয়েন্টিতে এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ রান বাংলাদেশের। ৩টি চারে ১৩ বলে অপরাজিত ২০ রান করেন সাকিব। ৪ রানে অপরাজিত থাকেন মেহেদি হাসান মিরাজ। আয়ারল্যান্ডের ইয়ং ২টি উইকেট নেন।