রাজনৈতিক ব্যর্থতাজনিত হতাশা বিএনপিকে গ্রাস করেছে : কাদের

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

ঢাকাঃ বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাজনৈতিক ব্যর্থতাজনিত হতাশা বিএনপি গ্রাস করেছে।তাই দেশ ও সরকারের অর্থনৈতিক কোনো ইতিবাচক অর্জন তারা দেখতে পায় না।রোববার (১ নভেম্বর) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সঙ্গে সেবার মান বৃদ্ধি বিষয়ক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় বিআরটিএ সদরদফতর, ঢাকা মহানগরী, এর পার্শ্ববর্তী জেলা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও সিলেট জেলার কর্মকর্তারা সংযুক্ত ছিলেন। ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন।ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা বলেছেন দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে সরকার নাকি মিথ্যাচার করছে। দেশের কোনো সুখবর, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি তাদের গায়ে জ্বালা ধরায়, এজন্যই সবকিছু নিয়ে অবিশ্বাস আর মিথ্যাচার বিএনপির মজ্জাগত।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে, নতুন গতি এসেছে প্রবাসী আয়ে। আর এসব ইতিবাচক দিক বিএনপি দেখতে পায় না।দেশে এখন পর্যন্ত ১৮টি ফ্লাইওভার, ৪১৩ কিলোমিটার চার লেনের সড়ক নির্মাণ হয়েছে। বিশ্বাস না হলে বিএনপি নেতাদের সরেজমিনে দেখে আসার আহ্বান জানান মন্ত্রী।তিনি বলেন, গত অর্থবছরের শেষ দিকে করোনার নেতিবাচক প্রভাবে বিশ্ব অর্থনীতি থমকে গিয়েছিল, তা সত্ত্বেও গত এক দশক ধরে দেশে জিডিপির উচ্চ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় করোনার প্রভাব সত্ত্বেও প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশের ওপরে অর্জিত হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এডিবি ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৮ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে। প্রবৃদ্ধি অর্জনের দিক দিয়ে এশিয়ায় চতুর্থ শীর্ষ দেশ হবে বাংলাদেশ।তিনি বলেন, আত্মীয় ও দলীয় পরিচয় দিয়ে বিআরটিএতে যারা প্রভাব খাটাতে চায় তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিআরটিএতে নিয়ম-কানুন অনুযায়ী সবাইকে চলতে হবে, এর ব্যত্যয় ঘটলেই ব্যবস্থা নিতে হবে সংশ্লিষ্টদের।দালালের দৌরাত্ম্য থেকে সবাইকে সাবধানে থাকার আহ্বান জানিয়ে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, গ্রাহক সেবার নামে যেন কেউ হয়রানির শিকার না হয় সেদিকেও নজর দিতে হবে। যেসব ব্যক্তি ঘুষ দিয়ে বদলি ও প্রমোশন করাতে চান, সেসব ব্যক্তিদের দিয়ে বিআরটিএতে কোনো লাভ হবে না।

You might also like