রাজপথে নেই রাজনীতিবিদরাঃ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে অবরোধ
সত্যবাণী
সিলেট অফিসঃ সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা তৃতীয় দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের দ্বিতীয় দিনেও সিলেটের জীবনযাত্রা প্রায় স্বাভাবিক ছিল। অবরোধের কোনো প্রভাব নগরিতে পড়েনি। যান ও জন চলাচল সকাল থেকে স্বাভাবিক থাকতে দেখা গেছে। তবে কর্মসূচি ঘোষণাকারী প্রধান দু’টি দলের গুটি কয়েক নেতাকর্মী নগরির দুয়েক জায়গায় কিছু সময়ের জন্য মিছিল ও পিকেটিং করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের দ্বিতীয় দিন শুরু হয় সিলেটে মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে যান চলাচলের মধ্য দিয়ে। ভোর থেকেই যান চলাচলও বেড়ে যায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে শুরু করে নগরিতে নিত্যদিনের যানজট। সড়ক-মহাসড়কে বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরণের গণ পরিবহণ চলাচল করেছে। নগরজুড়ে সিএনজি অটোরিকশার আধিক্য ছিল।
স্থানীয় শ্রমিক সংগঠনসমুহের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, সড়কগুলোয় যানবাহন চলাচল আগের মতোই স্বাভাবিক রয়েছে। কদমতলি ও কুমারগাঁও বাস টার্মিনালে যাত্রীসংখ্যা কিছুটা কম থাকলেও বাস এসে প্রবেশ করেছে এবং যথারীতি ছেড়েও যাচ্ছে।
নগরির গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন রোড, বঙ্গবীর রোড, বন্দরবাজার, সুরমা মার্কেট পয়েন্ট, জিন্দাবাজার পয়েন্ট, চৌহাট্টা, আম্বরখানা, মদিনা মার্কেট, টিলাগড়, দক্ষিণ সুরমার হুমায়ূন রশিদ চত্বর, চন্ডিপুল এলাকায় পূর্বের ন্যায় যানজট লেগে থাকতে দেখা গেছে। বিপনী বিতান, অফিস আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যথারীতি খোলা ছিল।
অবরোধকারীদের বিশৃঙ্খলা ও যেকোনো ধরণের তৎপরতা ঠেকাতে সতর্কাবস্থায় ছিল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে ও নগরের বিভিন্ন পয়েন্টে র্যাব, পুলিশ, বিজিবি সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার সকালে বিএনপি নেতা কর্মীরা সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে আগুন ধরিয়ে অবরোধ করেছেন বলে জনৈক বিএনপি নেতা তাঁর ফেইসবুকে ১ মিনিট ৪৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও আপলোড করেন।
কিন্তু, এসএমপি’র দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম বিষয়টি অস্বীকার করে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কোথাকার কোন ভিডিও ফুটেজ, কে খুঁজে এনে আপলোড করেছেন কে জানে, আমাদের থানা এলাকায় এরকম কোন ঘটনা ঘটেনি। সব ক্লিয়ার আছে।’