রাজস্ব বঞ্চিত সরকারঃ শমশেরনগর রেলওয়ে স্টেশনে কাটা হচ্ছে পুরোনো গাছ

সত্যবাণী
সিলেট অফিসঃ মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় কাটা হচ্ছে প্রাচীনতম ২টি আম গাছ। বিশালাকৃতির গাছগুলো কেটে সাবাড় করা হচ্ছে বলে স্থানীয়ভাবেও ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তবে গাছগুলো মরে যাওয়ায় উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে কেটে নিলামে দেয়া হবে বলে স্টেশন মাস্টার সুত্রে জানা গেছে। কিন্তু বিগত দিন কয়েক আগে আরো ৭টি গাছ কাটা হলেও তা এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি।
কমলগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা জানান, সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে শমশেরনগর রেলওয়ে স্টেশনের পাশে বাসাবাড়ি সংলগ্ন অনেক পুরোনো দু’টি আম গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। এ পর্যন্ত দু’টি গাছ কাটা হলেও পর্যায়ক্রমে ৭টি বৃহদাকার গাছ কাটা হবে বলে শ্রমিকরা জানান। গাছগুলোর মধ্যে রয়েছে কাঁঠাল, শিমুল, আম ও বেলজিয়াম। গাছের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ অনেক বেশি। গাছগুলোর বয়স ৩৫ থেকে ৪০ বছর বা তারও বেশি হবে।
এই গাছগুলোর সাথে বাকি গাছগুলোও কেটে ডালপালাসহ বিক্রি করা হচ্ছে। গাছগুলো পরিবেশে অক্সিজেনের যোগান দিয়েছে। পরিবেশের মূল্যবান অবদান রাখলেও গাছকাটার বিষয়ে স্থানীয়দের মধ্যে প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। গাছগুলো বিক্রি করে ভাগ-বাটোয়ারা করে নেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় কয়েকজন অধিবাসী জানান, কেটে ফেলা দু’টি আমগাছের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৮০ হাজার টাকা হবে। পরিবেশকর্মী নুরুল মোহাইমীন বলেন, প্রাচীন গাছগুলো পরিবেশের জন্য খুবই উপকারী। মৌখিক নির্দেশে কখনো গাছকাটার নিয়ম নেই। মারা গেলেও কি কি প্রজাতির ও কতটি গাছ তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের লিখিত অনুমতি নিয়েই কাটার কথা। অন্যথায় পরিবেশের ক্ষতির পাশাপাশি রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। শমশেরনগর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার জামাল হোসেন বলেন, গাছের মালিক রেলওয়ের ‘আইডাব্লিউ’। তিনি আরও বলেন, ‘আইডাব্লিউ’র কর্তৃপক্ষ নিজে এসে মরা গাছ কাটিয়েছে। গাছকাটার সাথে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নাই।
রেলওয়ের কুলাউড়াস্থ উপ-সহকারী প্রকৌশলী (কার্য্য) রেজাউল করিম  জানান, ঝুঁকিপূর্ণ থাকার কারণে শমশেরনগর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার লিখিতভাবে অবহিত করলে মরা গাছকাটার জন্য বলা হয়েছে।
কিছুদিন আগে ৭টি গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে নতুন এসেছি। সরেজমিন খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঝুঁকিপূর্ণ থাকার কারণে শমশেরনগর স্টেশন এলাকায় মরা গাছগুলো কাটার জন্য বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে রাজকান্দি রেঞ্জ কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, আম গাছ কাটতে বনবিভাগের অনুমতির প্রয়োজন নেই। সরকারি জায়গা থেকে গাছ কাটা হয়ে থাকলে তা কর্তৃপক্ষ দেখবে।

You might also like