রাফায় হামলা বন্ধ করতে ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক আদালতের নির্দেশ

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

লন্ডন: ফিলিস্তিনের রাফাতে দখলদার ইসরায়েলের চলমান হামলা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)। শুধু তাই নয়, ইসরায়েলি সৈন্যদের ওই এলাকা ছেড়ে দেওয়ার জন্যও বলা হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ মে) হেগভিত্তিক জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত ইসরায়েলকে এ নির্দেশ দেন। খবর বিবিসির

কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে একই তথ্য জানানো হয়।

আদালতের বিচারকরা বলেছেন, ইসরায়েল গাজার বাসিন্দাদের নিরাপত্তার ব্যাপারে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং রাফা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে যে প্রক্রিয়া ব্যবহার করছে সেটিতে তারা সন্তুষ্ট নন।

আইসিজের প্রধান বিচারপতি নওয়াফ সালাম বলেন, রাফাতে তাৎক্ষণিকভাবে ইসরায়েলের যে কোনো হামলা বন্ধ করতে হবে। যে হামলায় গাজার ফিলিস্তিনি ও তাদের অবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

রাফায় মানবিক পরিস্থিতি বিপর্যয়কর মন্তব্য করে তিনি যত দ্রুত সম্ভব সেখানে ইসরায়েলি সৈন্যদের হামলা বন্ধ করার নির্দেশ দেন।

এর আগে রাফাতে ইসরায়েলের হামলা বন্ধের দাবি নিয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের দারস্থ হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। গাজায় ইসরায়েল গণহত্যা চালাচ্ছে দাবি করে করে দেশটি সেখানে হামলা বন্ধ করতে আবেদন জানায়।

দক্ষিণ আফ্রিকার আবেদন আমলে নিয়ে আজ শুক্রবার রাফাতে হামলা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন আইসিজের বিচারকরা। রায় দিতে পারলেও রায় কার্যকর করানোর ক্ষমতা নেই আইসিজের। এর আগে ইউক্রেনে আগ্রাসন বন্ধের জন্য রাশিয়াকে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু রাশিয়া তা মানেনি।

অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকার এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করে আসছে ইসরায়েল। দখলদার ইসরায়েল ইঙ্গিত দিয়েছে যে, তারা তাদের কার্যক্রম বন্ধ করার যে কোনো আদেশ উপেক্ষা করবে।

শুক্রবারের রায়ের আগে, একজন সরকারি মুখপাত্র বলেছেন, ‘পৃথিবীর কোন শক্তিই ইসরায়েলকে তার নাগরিকদের রক্ষা করা থেকে এবং গাজায় হামাস নির্মূল করতে বাধা দেবে না। ’

রাফাহ শহরে জিম্মিদের আটকে রেখেছে দাবি করে ইসরায়েল প্রায় তিন সপ্তাহ আগে সেখানে অভিযান শুরু করে নির্বিচারে হামলা চালায়, যা এখনও চলছে।

জাতিসংঘ বলছে, অভিযান শুরুর পর থেকে ৮ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি রাফাহ থেকে পালিয়েছেন। গাজার অন্যত্র যুদ্ধ থেকে প্রায় দেড় মিলিয়ন সেখানে আশ্রয় নিয়েছিল।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় প্রায় এক হাজার ২০০ জন নিহত হন। ২৫২ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাসের বন্দুকধারীরা। হামাস নির্মূলের নামে গাজায় আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল।

গাজার হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, তখন থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচারে হামলায় অন্তত ৩৫ হাজার ৮০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

You might also like