রুস্তমপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪৩ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান সম্পন্ন
সত্যবাণী
সিলেট অফিসঃ সিলেটের দক্ষিণ সুরমার সিলাম ইউনিয়নের আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় রুস্তমপুরের ৪৩ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পূনর্মিলনী অনুষ্ঠান। ১ মার্চ শুক্রবার বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে দিনব্যাপী আয়োজিত অনুষ্ঠানটি পরিণত হয়েছিলো সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মিলনমেলায়।
এ উপলক্ষে সকালে বিদ্যালয় প্রাঙ্গন থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে এলাকা প্রদক্ষিণ করে আবার একই স্থানে এসে শেষ হয়। এরপর শুরু হয় স্মৃতিচারণ। একে একে বিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি ব্যাচের শিক্ষার্থী ও সাবেক শিক্ষকরা তাদের ফেলে আসা দিনগুলোর স্মৃতিচারণ করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মানুষের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় হচ্ছে ছাত্রজীবন, এরমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মাধ্যমিক স্তর। এই সময়ের স্মৃতি কেউ কখনো ভুলতে পারে না। এ রকম মিলনমেলার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের সেই সোনালী অতীতে ফিরে যায়।
বক্তারা নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, লেখাপড়া করে শুধু চাকুরির পেছনে ছুটলে হবে না, মানুষের মতো মানুষ হতে হবে। মানুষের সেবা করতে হবে। পিতা-মাথা ও গুরুজনকে সম্মান করতে হবে।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আশরাফুজ্জামান নবীব আলীর সভাপতিত্বে ও জান্নাতুল নাজনীন আশা’র উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ সুরমার ইউএনও ঊর্মি রায়।
শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত করেন বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মো. সানোয়ার আলী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আব্দুল মুন্তাকিম চৌধুরী মাসুম।
স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য রাখেন, সিলাম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সৈয়দ মকবুল হোসেন মাখন, সৈয়দ ফরহাদ হোসেন, ফালাকুজ্জামান চৌধুরী জগলু, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহমুদ হোসেন, সাবেক প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালিক, মোঃ জসিম উদ্দিন, মুতলিব আলী, রেজওয়ান আহমদ, শাহ দেলোয়ার, সৈয়দা সেলুফা, যুক্তরাজ্য প্রবাসী শাহজাহান আহমদ সাজু, আমিনুল ইসলাম মাসুম মেম্বার, শায়েস্তা মিয়া, শামসুল আলম, শিমুল আহমদ, রিদওয়ান হোসেন, আলী আহমদ, নুরমান আহমেদ, আতিক মিয়া, গোলাম কিবরিয়া, মহিউদ্দিন, জামাল আহমেদ, আলী আহমেদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক নজমুল হোসেনকে বিদায়ী সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়। এছাড়াও র্যাফেল ড্র-তে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ।
অনুষ্ঠান শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।