র্যাব-এর জালে ৬ দুর্ধর্ষ ডাকাত
চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী
সিলেট থেকেঃ ৬ দুর্ধর্ষ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯। শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের একটি দল সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর থানার আতুকুরা বাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে। এ সময় একদল ডাকাত ওই এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিলো।গ্রেফতারকৃতরা হলো, হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার উরালকুল গ্রামের মো. আব্দুর রউফের ছেলে মো. আবুল কালাম (২৬), লাখাই থানার মুরিআগ (পশ্চিমপাড়া) গ্রামের রুহুল আমীনের ছেলে মো. জসীম মিয়া (২৪), একই থানার বামৈ কাটিয়ারা গ্রামের মো. রতন মিয়ার ছেলে মো. রিপন মিয়া (২১), বামৈ পশ্চিম গ্রামের মো. ফিরোজ মিয়ার ছেলে মো. লাভলু মিয়া (২৩) ও মৃত মলয় মিয়ার ছেলে মাহমুদুল হাসান জুয়েল (৩৫), নিবারন সরকারের ছেলে সবুজ সরকার (২১)।গ্রেফতারকালে তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের ধারালো রামদা, বিভিন্ন রকমের রড, চাপাতি, হাতুড়ি, বল্লমসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে আবুল কালাম এ দলের সর্দার। কালামের পরিকল্পনায় শীতকালে সিলেটসহ বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত মেলা, ওয়াজ মাহফিল ও ওরশ ইত্যাদি অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে এ দল ডাকাতির ঘটনা ঘটাতো। এভাবে গত ২৭ জানুয়ারি গভীর রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর থানার বড়ইউড়ি গ্রামের ওরশ থেকে কয়েকজন সিএনজি অটোরিকশাযোগে বাড়ি ফেরার পথে চাপরতলা-খান্দুরা সড়কে তাদের মালামাল লুট করে কালাম ডাকাতের দল।র্যাব-৯ এর মিডিয়া অফিসার সিনিয়র এএসপি আফসান-আল-আলম জানান, ওই রাতে কালাম ডাকাতের দল ওরশ ফেরত মানুষজনের চোখ ও হাত বেঁধে তাদের সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন ও নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় বেশ কয়েকজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে ডাকাতরা। এ ঘটনায় পরদিন অটোরিকশা চালক বাদী হয়ে নাসিরনগর থানায় অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেন।এদিকে, আলোচিত এ ডাকাতির ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী অন্যান্য বাহিনীর পাশাপাশি তদন্ত শুরু করে র্যাব-৯-ও। সোমবার রাতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে, নাসিরনগর থানার আতুকুরা বাজার এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে কালাম ও তার সঙ্গীরা। পরে রাত আড়াইটার দিকে অভিযান চালিয়ে এ দলের ৬ জনকে গ্রেফতার করে র্যাব। তবে বাকি ডাকাতরা পালিয়ে যায়।এএসপি আফসান-আল-আলম আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা ২৭ জানুয়ারির ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে স্বীকার করেছে। এছাড়াও সোমবার দিবাগত রাতে নাসিরনগরের আতুকুরা বাজার এলাকায় তারা ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিলো বলে জানায়। জিজ্ঞাসাবাদের পর ৬ ডাকাতকে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।