লন্ডন হাইকমিশনের বিশেষ উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ভাষণের আইরিশ, স্কটিশ এবং ওয়েলশ ভাষায় অনুবাদ প্রকাশ
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
লন্ডনঃ বাংলাদেশ হাইকমিশন,লন্ডন-এর বিশেষ উদ্যোগে গতকাল সোমবার বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ভাষণের আইরিশ,স্কটিশ এবং ওয়েলশ ভাষায় অনুবাদ আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ করা হয়েছে।পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে. আবদুল মোমেন,এমপি, ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে ‘‘A call for freedom in languages’’শিরোনামে এই বিশেষ প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করেন।
যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীমের বিশেষ উদ্যোগে ট্রিনিটি কলেজ ডাবলিন,হ্যারিয়ট-ওয়াটই উনিভার্সিটি, স্কটল্যান্ড এবং ইউনিভার্সিটি অব ওয়েলস ট্রিনিটি সেন্ট ডেভিড কলেজের ভাষা বিশেষজ্ঞরা এ অনুবাদ করেছেন।প্রকাশনা অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে, এম, খালিদ এমপি, মিনিস্টার ফর ইউরোপও আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী থমাস বায়ার্ন এবং ওয়েলস-এরফার্স্ট মিনিস্টার মার্ক ড্রেকফোর্ড,এমএস।
হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন ও বক্তব্য রাখেন ইউনেস্কোর প্রাক্তন পরিচালক মিস ইরিনা বোকোভা, যুক্তরাজ্যের ডিজিটাল, সংস্কৃতি, মিডিয়া এবং ক্রীড়া সম্পর্কিত হাউস অফ কমন্সসিলেক্ট কমিটির সভাপতি জুলিয়ান নাইট এমপি, মিস যোয়ানা চেরি কিউসি ও এমপি, মিস সারাহ বয়াক এম এসপি, সোয়াসের শৈল্পিক পরিচালক ডঃ সংযুক্তা ঘোষ, ইউনিভার্সিটি অব ওয়েলস ট্রিনিটি সেন্ট ডেভিড-এর উপাচার্য প্রফেসর মেডউইন হিউজেস ও প্রফেসর মেনা এলফিন,হেরিয়ট-ওয়াট বিশ্ববিদ্যালয়, স্কটল্যান্ডের প্রফেসর স্যার জেফ পালমার, ট্রিনিটি কলেজ ডাবলিন-এর আইরিশ ও কেল্টিক স্টাডিস বিভাগের প্রধান ডাঃ ইওনম্যাক কর্থেই ওগ্লোবাল রিলেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রফেসর জুলিয়েট হোসি,স্কটিশ ভাষা ও ইতিহাস বিশেষজ্ঞ ডঃ ডানকান স্টুয়ার্ট ডন ব্রিটিশ বাংলাদেশি কমিউনিটির সিনিয়র প্রতিনিধি সুলতান মাহমুদ শরীফ ও নঈম উদ্দিন রিয়াজ।মোড়ক উন্মোচনের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ,কে আবদুল মোমেন বলেন ‘‘এই বিশেষ অনুবাদ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস এবং বঙ্গবন্ধুর৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের গুরুত্ব আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড এবং ওয়েলসের মানুষের কাছে তুলে ধরবে।১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের সময় নিজের উপস্থিতির কথা
উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,তাঁর এ ভাষণ শুধু মাত্রনি পীড়িত-নির্যাতিত বাঙালি জাতির স্বাধীকার আন্দোলনের দিক নির্দেশনাই হিসেবেই নয়,ইউনেস্কোর Democracy Heritage of Mankind-এর অন্তর্ভূক্ত হয়ে বিশ্বের সকল নিপীড়িত ও মুক্তিকামী মানুষের অসিম প্রেরণার উৎস হয়ে ও থাকবে।সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে.এম খালিদ ইউরোপ ও ব্রিটেনের প্রধান তিনটি ভাষায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের অনুবাদ প্রকাশ করার জন্য লন্ডন মিশন কে বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন,“এই অনুবাদ স্কটল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও ওয়েলসের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে বঙ্গবন্ধুর ওপর আরো গবেষণার উৎসাহ যোগাবে।”
হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম তাঁর স্বাগত বক্তব্যে বলেন, “বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ অনুবাদের মাধ্যমে আইরিশ, স্কটিশ ও ওয়েলশ ভাষায় সর্বপ্রথম বাংলা ভাষার কোনঐতিহাসিক দলিলের অনুবাদ প্রকাশ করতে পেরে বাংলাদেশ হাইকমিশন লন্ডন অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত।”তিনি বলেন, এই তিন ভাষায় ৭ মার্চের ভাষণের অনুবাদ প্রকাশনার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ জাতিসংঘের সব কয়টি দাপ্তরিক ভাষা সহ মোট ১৭টি ভাষায় প্রকাশিত হলো। হাইকমিশনার স্কটল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও ওয়েলসের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের ওপর আরো গভীর ও নিবিড় গবেষণার বিষয়ে ঘনিষ্ট ভাবে কাজ করার দৃঢ় আশাবাদ পুনঃব্যক্ত করেন।মিনিস্টার ফর ইউরোপ ও আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী থমাস বায়ার্ন বলেন,“আইরিশ ভাষায় ৭ মার্চের ভাষণের অনুবাদের মাধ্যমে আয়াল্যান্ডের মানুষ বাংলাদেশের জাতির পিতার ঐতিহাসিক ভাষণ ও তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের ইতিহাস সম্পর্কে আরো জানতে পারবে।ওয়েলস-এর ফার্স্ট মিনিস্টার মার্ক ড্রেকফোর্ড বলেন,“৭ মার্চের ভাষণ ওয়েলশ ভাষায় প্রকাশিত হওয়ায় ওয়েলসের জনগণ বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস ও বাংলাদেশের জাতির পিতা সম্পর্কে আরো বেশী করে জানার ব্যাপারে উৎসাহিত হবে।