লাখাইয়ের হাওরে নৌকাভ্রমণে নববধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় ৩ জন গ্রেফতার
শরিফ চৌধুরী
সত্যবাণী
হবিগঞ্জ থেকেঃ লাখাইয়ের টিক্কাপুর হাওরে নৌকাভ্রমণে যাওয়া নববধূকে গণধর্ষণের ঘটনার মামলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নববধূর স্বামী রাকিব আহমেদ বাদী হয়ে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জিয়াউদ্দিন মাহমুদের আদালতে ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে একদিনের মধ্যে রুজু করতে লাখাই থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। গণধর্ষণের ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত র্যাব ও পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৩ আসামিকে গ্রেফতার করেছে। তারা হল, সোলেমান রনি, মিঠু মিয়া ও শুভ।মামলার আসামিরা হল, মোড়াকড়ি গ্রামের খোকন মিয়ার ছেলে মুছা মিয়া (২৬), ইব্রাহীম মিয়ার ছেলে মিঠু মিয়া (২১), পাতা মিয়ার ছেলে হৃদয় মিয়া (২২), বকুল মিয়ার ছেলে সুজাত মিয়া (২৩), মিজান মিয়ার ছেলে জুয়েল মিয়া (২৫), ইকবাল হোসেন ওরফে ছোট্ট মিয়ার ছেলে সোলায়মান রনি (২২), ওয়াহাব আলীর ছেলে মুছা মিয়া (২), (২০), রুকু মিয়ার ছেলে শুভ মিয়া (১৯)।
নির্যাতিতার স্বামী জানায়, প্রায় এক মাস আগে তাদের বিয়ে হয়। গত ২৫ আগস্ট দুপুরে বাড়ির পাশের ওই হাওরে তারা নৌকাভ্রমণে যান। নৌকায় নবদম্পতি, তাদের এক বন্ধু ও মাঝি ছিলেন। সে সময় আরেকটি নৌকায় করে গ্রামের ৮ যুবক তাদের নৌকার গতি রোধ করেন। তাদের নৌকায় উঠে ওই যুবকরা তাকে ও তার বন্ধুকে মারধর করে আটকে রাখে। তার স্ত্রীকে ওই নৌকায় তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে। মোবাইল ফোনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে রাখা হয়। ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে জানালে ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেন যুবকরা। এ কারণে বিষয়টি এত দিন গোপন করে রেখেছিলেন তিনি। তবে ঘটনার চার দিন পর ওই যুবকরা ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি করে বলে জানান নববধূর স্বামী। টাকা না দেওয়ায় এলাকার কয়েকজনের কাছে ভিডিওটি ছড়িয়ে দেয় ওই যুবকরা। এর মধ্যে তার স্ত্রীর শারীরিক অবস্থাও খারাপ হতে থাকে। এরপর তিনি স্ত্রীকে বুধবার হাসপাতালে ভর্তি করেন।লাখাই থানার ওসি সাইদুর রহমান বলেন, ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে। অচিরেই তারা ধরা পড়বে। তবে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পরই পুলিশ ও র্যাব এই তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।