লিটনের সেঞ্চুরির পরও ইনিংস ব্যবধানে হারলো বাংলাদেশ
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
বাংলাদেশঃ মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ, চলতি নিউজিল্যান্ড সফরে এই দুটোই দেখে ফেলল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। যাওয়ার আগে প্রত্যাশা অবশ্য তেমন একটা ছিল না। যদিও প্রথম টেস্টে দুর্দান্ত খেলার পর, দ্বিতীয় ম্যাচে ভালো কিছুর আশা করাটাও একটুও বাড়াবাড়ি ছিল না।তবে এমনভাবে টাইগাররা যে হতাশ করল, তার মধ্যেও অবশ্য রঙিন হয়ে থাকলে লিটন দাসের অনন্য এক ইনিংস। ক্রাইস্টচার্চে নিজেদের শেষ টেস্ট ম্যাচে ১১৪ বলে ১০২ রান করে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন তিনি।
হ্যাগলি ওভালে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের শেষটিতে বাংলাদেশ হেরেছে ইনিংস ও ১১৭ রানে। যেখানে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ৫২১ রান সংগ্রহ করেছিল নিউজিল্যান্ড। দুই ইনিংস মিলিয়েও ওই রান করতে পারেনি টাইগাররা। প্রথম ইনিংসে ১২৬ ও পরের ইনিংসে ২৭৮ রান করে অলআউট হয় মুমিনুল হকের দল।আগের দিন ফলোঅনে পড়া বাংলাদেশ তৃতীয় দিনের শুরুতে ব্যাট করতে নামে। ৪৮ বলে ২১ রান করে সাজঘরে ফেরত যান ওপেনার সাদমান ইসলাম। আরেক ওপেনার নাঈম শেখ অবশ্য এদিন বেশ দারুণ খেলছিলেন। অফ স্ট্যাম্পের বাইরে থাকা বল একের পর এক ছাড়ছিলেন তিনি। যদিও হুট করেই খেই হারান এই তরুণ ব্যাটার। খোঁচা দিয়ে আউট হন সাউথির বলে। আর দুর্দান্ত সেই ক্যাচ লুফে নেন টম ল্যাথাম। ৯৮ বলে ২৪ রান করেন নাঈম।
এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক আশা দেখিয়েও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। ৩৬ বলে ২৯ রান করে শান্ত ও ৬৩ বলে ৩৭ রান করেন মুমিনুল। মাঝে আশার আলো হয়ে জ্বলে থাকেন লিটন দাস। একটার পর একটা দারুণ সব শট খেলেন তিনি। তাকে ভালো সঙ্গও দিচ্ছিলেন নুরুল হাসান সোহান।যদিও হুট করে তিনিও আক্রমণাত্মক খেলতে গিয়ে আউট হন। ৫৪ বলে ৩৬ রান করে সোহান ড্যারেল মিচেলের বলে ক্যাচ তুলে দেন নেইল ওয়েগনারের হাতে। এতে অবশ্য থেমে যায়নি লিটনের দারুণ ব্যাটিং।নিজের সেঞ্চুরিও পূর্ণ করে নেন তিনি। ১৪ চার ও ১ ছক্কায় ১১৪ বলে ১০২ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তার আউটের সঙ্গে দ্রুতই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশও। ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টে এবাদতের উইকেট নিয়ে ম্যাচের ইতি টানেন রস টেইলর।উল্লেখ্য, এর মাধ্যমে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে সফরকারী বাংলাদেশের বিপক্ষে ১-১ এ সমতা আনল স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
নিউজিল্যান্ড (প্রথম ইনিংস)- ৫২১/৬ (ডিক্লে.) (১২৮.৫ ওভার) (লাথাম ২৫২, কনওয়ে ১০৯, ব্ল্যান্ডেল ৫৭, ইয়ং ৫৪; এবাদত ২/১৪৩, শরিফুল ২/৭৯)
বাংলাদেশ (প্রথম ইনিংস)- ১২৬/১০ (৪১.২ ওভার) (ইয়াসির ৫৫, সোহান ৪১; বোল্ট ৪/৪৩, সাউদি ৩/২৮, জেমিসন ২/৩২)
বাংলাদেশ (দ্বিতীয় ইনিংস) (ফলোঅন)- ২৭৮/১০ (৭৯.৩ ওভার) (লিটন ১০২, মুমিনুল ৩৭, সোহান ৩৬; জেমিসন ৪/৮২, ওয়্যাগনার ৩/৭৭)