লিটনের সেঞ্চুরি ও মুশফিকের হাফ-সেঞ্চুরিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩০৬ রান

স্পোর্টস ডেস্ক
সত্যবাণী

চট্টগ্রাম: ওপেনার লিটন দাসের সেঞ্চুরি ও মিডল-অর্ডার ব্যাটার মুশফিকুর রহিমের হাফ-সেঞ্চুরিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৫০ ওভারে ৪ উইকেটে ৩০৬ রান করেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। লিটন ১৩৬ ও মুশফিক ৮৬ রান করেন।চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্বান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল। সতীর্থ লিটন দাসকে নিয়ে ইনিংস শুরু করেন তামিম।
৬ ওভারের মধ্যে তামিম ২টি ও লিটন ৩টি চার মারেন। ষষ্ঠ ওভারের দ্বিতীয় বলে বাংলাদেশ শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন আগের ম্যাচে শুরুতেই প্রতিপক্ষকে মহাবিপদে ফেলে দেয়া আফগানিস্তানের পেসার ফজলহক ফারুকি। তার বলে লেগ বিফোর আউট হন তামিম। রিভিউ নিয়ে নিজের উইকেট বাঁচাতে পারেননি তামিম। ২৪ বলে ১২ রান করেন টাইগার দলনেতা।

তামিমের বিদায়ে উইকেটে আসেন সাকিব আল হাসান। প্রথম বলে বাউন্ডারি দিয়ে রানের খাতা খুলেন সাকিব। তবে এবারও বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন সাকিব। আফগানিস্তানের স্পিনার রশিদ খানের বলে এলবিডব্লু আউট হন সাকিব। রিভিউ  নিয়ে আউট হওয়ার আগে ২টি চারে ৩৬ বলে ২০ রান করেন সাকিব।৮৩ রানে দুই উইকেট পতনের পর বাংলাদেশের হাল ধরেন লিটন ও মুশফিকুর রহিম। উইকেটে সেট হতে সময় নেন মুশফিক। তবে ২০তম ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১শতে পৌঁছে দেন মুশফিক-লিটন। ২৫তম ওভারে বাউন্ডারি দিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন লিটন। ৬৫ বলে হাফ-সেঞ্চুরি পাবার পর নিজের ইনিংস বড় করেছেন লিটন।অপরপ্রান্তে রানের গতি ধরে রেখেছেন মুশফিক। ৩৪তম ওভারে রশিদের বলে বাউন্ডারি মেরে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪২তম হাফ-সেঞ্চুরিতে পা রাখেন মুশফিক। ৫৬ বলে হাফ-সেঞ্চুরি পুর্ন করেন তিনি।

লিটন-মুশফিকের জোড়া হাফ-সেঞ্চুরিতে ৩৬তম ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ২শতে পৌঁছায়। ৪১তম ওভারের চতুর্থ বলে কভার দিয়ে বাউন্ডারি আদায় করে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪৯তম ম্যাচে পঞ্চম সেঞ্চুরির স্বাদ নেন লিটন। ১০৭ বলে সেঞ্চুরির পর ৪৪তম ওভারে ফারুকির প্রথম দুই ডেলিভারিতে ১০ রান তুলেন লিটন। ৪৬তম ওভারের দ্বিতীয় বলেও ফারুকিকে মিড উইকেট দিয়ে ছক্কা মারেন লিটন। ঐ ওভারে লিটন-মুশফিকের জুটি ২শ স্পর্শ করে। দু’জনের ১৮৮ বল খেলেন। তবে ৪৭তম ওভারে পেসার ফরিদ আহমাদের করা দ্বিতীয় বলে লিটন ও তৃতীয় বলে মুশফিক আউট হন।
১২৬ বল খেলে ১৬টি চার ও ২টি ছক্কায় ১৩৬ রান করেন লিটন। ৯৩ বলে ৯টি চারে ৮৬ রান করেন একবার জীবন পাওয়া মুশফিক। ৬৯ রানে জীবন পেয়েছিলেন তিনি।
তৃতীয় উইকেটে ১৮৬ বলে ২০২ রানের জুটি গড়েন লিটন-মুশফিক। তৃতীয় উইকেটে বাংলাদেশের পক্ষে এটিই সর্বোচ্চ রানের জুটি। এর আগেরটি ছিলো তামিম-মুশফিকের। ২০১৫ সালে মিরপুরে পাকিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় উইকেটে ১৭৮ রান করেছিলেন তারা।
দলীয় ২৮৫ রানেই বিদায় নেন লিটন-মুশফিক। তখন ইনিংসের ২১ বল বাকী ছিলো। বাকী ২১ বলে ২১ রানের বেশি যোগ করতে পারেননি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও আগের ম্যাচের হিরো আফিফ হোসেন। মাহমুদুল্লাহ ৬ ও আফিফ ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন। এতে ৫০ ওভারে ৪ উইকেটে ৩০৬ রানের বড় সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। অতিরিক্ত থেকেও ৩৩ রান পায় বাংলাদেশে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে এটিই সর্বোচ্চ দলীয় রান বাংলাদেশের। ২১তমবারের মত ওয়ানডেতে ৩শ রান করলো বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের ফরিদ ৫৬ রানে ২ উইকেট নেন।

You might also like