লিডস কমিউনিটি নেতা সৈয়দ ফটিক মিয়ার ইন্তেকাল: সোমবার বাদ জোহর নামাজে জানাজা

লিডস করেসপন্ডেন্ট
সত্যবাণী

লিডস থেকে: ইয়র্কশায়ারের লিডস বাংলাদেশী কমিউনিটির প্রবীন নেতা বাজি সৈয়দ ফটিক মিয়া ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না লিল্লাহ ই ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) রবিবার স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা ৫ মিনিটে লিডসের নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি বেশ কিছুদিন ধরে মরনব্যাধি ক্যানসারে ভুগছিলেন। তাঁর বয়স হয়েছিলে ৬৯ বছর। মৃত্যুকালে প্রয়াত ফটিক মিয়া স্ত্রী, ৫ মেয়ে ও ২ছেলেসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। লিডস বাংলাদেশী কমিউনিটির উন্নয়নে তিনি ছিলেন একজন সুপরিচিত নেতা।

সুনামগন্জ জেলার জহন্নাথপুর উপজেলার সৈয়দপুর ঈশানকোণার সন্তান সৈয়দ ফটিক মিয়া ষাটের দশকের শেষের দিকে মা-বাবার সাথে প্রথম বিলেতে আসেন। তাঁর বাবা প্রয়াত আলহাজ্ব সৈয়দ আব্দুল বারী ও মা মরহুমা সৈয়দা তনজবি বিবির বিশাল যৌথ পরিবার দীর্ঘ কয়েক দশক যাবত লিডস শহরে বসবাস করে আসছিলেন। ৫ ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সৈয়দ ফটিক মিয়া ছিলেন ৫ম। এর আগে বছর দেড়েকের ব্যবধানে তার আরও দুই ভাই পরজগতের বাসিন্দা হন।

কমিউনিটি নেতা সৈয়দ ফটিক মিয়ার মৃত্যুতে লিডসের বাংলাদেশী কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যার যার ওয়ালে এই মৃত্যুসংবাদ প্রচার করে সদ্য প্রয়াত এই প্রবীন ব্যক্তির আত্মার শান্তি কামনা করেছেন অনেকেই।

সোমবার নামাজে জানাজা

এদিকে আগামীকাল সোমবার বিকেল ২টায় লিডস বাংলাদেশী কমিউনিটি সেন্টারে প্রয়াত সৈয়দ ফটিক মিয়ার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রয়াতের ভাতিজা সৈয়দ রুবেল মিয়া।তিনি জানান জানাজা শেষে লিডসের স্থানীয় কবরস্তানে তাঁর ছোটভাইয়ের পাশেই শেষ শয্যায় শায়িত করা হবে তাঁর চাচাকে।

সৈয়দ ফটিক মিয়ার আরেক ভাতিজা লিডসের ব্যাবসায়ী সৈয়দ সুহেল আহমদ তাঁর চাচার আত্মার শান্তি কামনায় সকলের দোয়া চেয়েছেন। জীবিতাবস্থায় তাঁর চাচা যদি কারো মনে কোন কষ্ট দিয়ে থাকেন তাহলে তার জন্য চাচার পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্টদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন সৈয়দ সুহেল। তার চাচার সাথে কারো কোন লেনদেন থাকলে তাও তাদের জানাতে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

 

You might also like