শক্তিশালী ভূমিকম্পে ব্যাংককে তীব্র কম্পন, ধসে পড়ল নির্মাণাধীন ভবন
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
মিয়ানমার: মিয়ানমারে উৎপত্তি হওয়া শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ডেও।কম্পনের প্রভাবে দেশটির রাজধানী ব্যাংককে নির্মাণাধীন একটি ৩০তলা ভবন ধসে পড়েছে।এ ঘটনায় ওই ভবনের ৪৩জন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন।খবর এএফপিরস্থানীয় সময় শুক্রবার (২৮ মার্চ) দুপুরে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পরে ৬ দশমিক ৪ মাত্রার একটি শক্তিশালী আফটারশক অনুভূত হয়।এ সময় ওই বহুতল ভবনটি ধসে পড়ে।ভূমিকম্পের পর লাখ লাখ মানুষকে তাদের বাড়িঘর এবং কর্মক্ষেত্র থেকে দূরত্বে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ব্যাংককের বাসিন্দাদের ভবন থেকে নেমে বাইরে নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে, যাতে ফের কোনো আফটারশকে দুর্ঘটনাকবলিত না হতে পারে।থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা শহরে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর ধসে পড়া ভবনে কমপক্ষে তিনজনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। জরুরি উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও অনেক মানুষ চাপা পড়ে আছেন।
ভূমিকম্পের পর ‘জরুরি বৈঠক’ করতে দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ ফুকেটে তার নির্ধারিত সরকারি সফর স্থগিত করেছেন তিনি।উদ্ধারকর্মী সংউত ওয়াংপন সাংবাদিকদের জানান, নির্মাণাধীন উঁচু ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে সাতজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও প্রচারিত হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে যে বহুতল ভবনটি একটি ক্রেনসহ ভেঙে পড়ছে, ধুলোর মেঘে ছড়িয়ে পড়ছে এবং আশপাশের লোকজন চিৎকার করে দৌড়ে পালাচ্ছেন।এএফপির একজন আলোকচিত্রী শহরের চাতুচাক বাজারের কাছে অবস্থিত ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুলেন্স এবং উদ্ধারকারী দল দেখতে পান। এলাকাটি পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়।বাং সু জেলার ডেপুটি পুলিশ প্রধান ওরাপাত সুকথাই এএফপিকে বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছালে দেখি মানুষ সাহায্যের জন্য চিৎকার করছেন। আমাদের অনুমান শত শত মানুষ আহত হয়েছে। তবে আমরা এখনও হতাহতের সংখ্যা নির্ধারণ করতে পারিনি। ’ভূমিকম্পের সময় একটি শপিংমলে ক্যামেরার সরঞ্জাম কিনতে ব্যস্ত ছিলেন স্কটল্যান্ডের একজন পর্যটক ফ্রেজার মর্টন। তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করেই পুরো ভবনটি নড়তে শুরু করে। সঙ্গে সঙ্গেই চিৎকার আর আতঙ্ক শুরু হয়ে যায়। প্রচুর চিৎকার হচ্ছিল, আতঙ্কে লোকেরা এস্কেলেটর দিয়ে ভুল পথে নেমে আসছিলেন। এ সময় মলের ভেতরে ধাক্কাধাক্কি ও হুড়োহুড়ি লেগে যায়।মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলছে, মিয়ানমারের সাগাইং শহর থেকে উত্তরপশ্চিমে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি। ভূমিকম্পটির তীব্রতা ছিল ৭ দশমিক ৭। কয়েক মিনিট পর একই এলাকায় ৬ দশমিক ৪ তীব্রতার একটি আফটারশক অনুভূত হয়।